মুরগির শেড নির্মাণ
কমার্শিয়াল ১টা ফার্ম থাকে আরেকটা ফার্ম ২০০মিটার মানে ৫০০ফুট দূরে হবে তবে নিজের ফার্ম হলে এবং একই বয়সের হলে কাছাকাছি মানে প্রস্থের দ্বিগুন দূরে করা যায়।
১সেড থেকে আরেক সেড প্রস্থ্যের দ্বিগুণ দূরে করতে হবে।
ব্রিডার ফার্ম ১টা থেকে আরেকটা ৫কিলোমিটার দূরে করতে হবে।লোকালয় থেকে দূরে হবে।
সেডের পাশাপাশি লেয়ারের লিটার ফেলবেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।তাছাড়া লেয়ারের লিটারের গন্ধ ব্রয়লারের লিটার থেকে বেশি।
ইচ্ছে প সুযোগ থাকলে বায়ো গ্যাস করতে পারেন.২০০০ লেয়ার হলে ৫-৭ জনের একটা পরিবাবের রান্নার গ্যাস হয়ে যাবে।অনেক সময় বিক্রি করা যায়।
একটা লেয়ার সেডের যে জায়গা লাগে লিটারের জন্য প্রায় তার অর্ধেক জায়গা লাগে(গভীরতার উপর ভিত্তি করে কম বেশি হতে পারে)
আশাপাশ লোকজন অভিযোগ করবে কিনা তা খেয়াল করতে হবে।
১.মুরগির ঘর:
# পূর্ব-পশ্চিম লম্বা হবে যাতে উত্তর দক্ষিণ থেকে অবাধ বায়ু চলাচল করে ভিতরের গ্যাস বের করতে পারে এবং সেড পূর্ব পশ্বিম হওয়ায় পূর্ব পশ্বিমের সূর্যের আলো/তাপ সরাসরি সেডের ভিতর পড়তে পারবেনা।
#সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ করা ঠিক না কারণ এতে গরমকালে স্টোক করে মুরগি মারা যায় তাছাড়া খাবারের মান নষ্ট হয়।
গরম ও বর্ষাকালে খাবার বেশিক্ষণ পাত্রে রাখা ঠিক না কারণ অধিক তাপে ও আর্দ্রতায় খাবারের মান নস্ট হয়।
খাচায় ১ হাজার লেয়ার মুরগি ২ টা পিরামিড হলে
#প্রস্থ: ২৪-২৫ ফুট,উচ্চতা ৮-১০ফূট
১টা পিরামিড হলে প্রস্থ ১২-১৩ ফুট দেয়া যায়।
এবং দৈর্ঘ্য চাহিদা অনুযায়ী.তবে ২৫০ ফুটের বেশি না।পানির লাইন৮৫ ফুটের বেশি হলে পানি ঠিক মত যাবে না।
লেয়ারের ক্ষেত্রে মাপ টা নির্ধারিত করে করতে হবে আর সোনালী বা ব্রয়লারে হলে কিছুটা কম বেশি হতে পারে যেহেতু খাচা থাকে না।
ব্রয়লার / সোনালী হলে প্রস্থ ১০-২৫ ফুট আর লম্বা ২৫০ ফুট করতে পারেন।
#.ঘরের চালা বাহিরের দিকে ৩-৪ ফুট বাড়তি রাখতে হবে যাতে বৃষ্টির পানি ঢুকতে না পারে.
# মেঝে পাকা করতে হবে।(ব্রয়লারের ক্ষেত্রে ফ্লোর পাকা হলে ফ্লোর একটু ভিজা ভিজা থাকে)তবে মাটির সাথে সিমেন্ট মিশিয়ে হালকা পাকা করা যেতে পারে)
কাঁচা সেড হলে ৪ইঞ্চি মাটির নিচে পলিথিন বিছিয়ে মাটি দিয়ে দিলে ফ্লোর ভাল থাকবে ভেজা ভেজা ভাব থাকবে না।মুরগি ভাল থাকবে।পলিথিন টা একটু ভাল মানের হলে বেশি ভাল।
#ঘরের চালা টিন বা সিমেন্ট শিট বা টিন,গোলপাতা,ছন,খড় দিয়ে করা যায়.
#গরম প্রতিরোধের জন্য চালার নিচে কাঠ বা হাডবোড বা বাশের চাটা বা ইনসুলেটর ব্যবহার করা যায়.(তবে এতে ইঁদুরের উপদ্রপ বেড়ে যাবার সম্বাবনা আছে কারণ ইদুর সিলিং এর উপর বাসা বাধে,বাচ্চা ফুটায়,দ্রুত ইদুর বেড়ে যায়) ১জোড়া ইদুর বছরে ১৫ হাজার বাচ্চা দিয়ে থাকে(নাতি নাতনী সহ যারা মাসে মাসে বাচ্চা দিতে থাকে) আর ২০হাজার পায়খানা করে।
#এক শেড হতে অন্য শেডর দূরত্ব হবে প্রস্থের দিগুণ.
#শেডের চারদিকে দু ধরনের পর্দা( শীতের সময় ভিতের দিকে পাতলা চট এবং বাইরের দিকে কাপড় বা পলিথিন দেয়া উচিত).পর্দা এমনভাবে
সেট করতে হবে যাতে নিচ হতে উপরে তোলা যায়.
#.সিলিং ফ্যান থেকে স্ট্যান্ড ফ্যান ভাল,এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে বাতাস দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে যায়.
স্ট্যান্ড ফ্যানের কিছু সমস্যা আছে যেমন অনেক ফ্যান লাগবে খরচ বেশি,সব মুরগিতে বাতাস লাগেনা।
# শেডে চারদিকে সেড থেকে ৪-৫ফুট দূরে নেট/বেড়া দিয়ে ঘিরে দিতে হবে যেন ইদুর বা অন্যপ্রানী ঢুকতে না পারে.
#শেডের সাইড ওয়ালের উপর থেকে ৩ফুট জি আই নেট আর বাকীটুকু জালের নেট বা জি আই নেট দিতে হবে।
#ঘরের পূর্ব পশ্চিম দেয়াল দিয়ে বন্ধ করা যেতে পারে.
সেড জীবাণু মুক্তকরণ ঠিক মত করলে ৮০% জীবাণূ কমে যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭জুলাই ২০২২