মুরগির সোলন হেড সিনড্রোম। এটি নিউমো ভাইরাস দিয়ে সৃষ্ট রোগ। ফোলা হেড সিন্ড্রোম (এসএইচএস) হ’ল ব্রয়লার এবং ব্রয়লার ব্রিডারগুলিতে একটি জটিল সংক্রমণ, যেখানে প্রাথমত দায়ি এভিয়ান নিউমোভাইরাস (এপিভি) এবং দ্বিতীয়ত দায়ি ই কোলি ব্যকটেরিয়া। এটি শ্বাসকষ্ট এবং স্নায়বিক লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ব্রয়লার মুরগীতে, সোলন হেড সিনড্রোম সাধারণত চতুর্থ সপ্তাহ পরে দেখা যায়। ক্লিনিকাল লক্ষণ হলো হাঁচি, কাশি, রোলস এবং কনজাংটিভাইটিস।চোখ দিয়ে পানি ঝরা, চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, চোখ মুখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষ করা যায়।
সোলন হেড সিনড্রোম রোগ পরিচিতি
রোগের নাম সোলন হেড সিনড্রোম
রোগের ধরণ ভাইরাল
জীবাণুর নাম এভিয়ান নিউমোভাইরাস
সংক্রমণ ব্রয়লার, ব্রয়লার ব্রিডার, টার্কি মুরগি
মৃত্যুর হার নেই
সংক্রমন সময় ডিম দেওয়া শুরু হলে।
চিকিৎসা নাই
এভিয়ান নিউমোভাইরাস
এভিয়ান নিউমোভাইরাস
রোগ ছড়ানোর মাধ্যম
দূষিত পানি পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবহার্য জিনিসপত্র এবং মানুষ থেকে সংক্রমিত হতে পারে। অসুস্থ পাখি দিয়ে সুস্থ পাখিতে সংক্রমিত হতে পারে।
সোলন হেড সিনড্রোম রোগের লক্ষণ
রোগটি সাধারনত ব্রিডার এবং ব্রয়লার ফার্মে বেশি প্রত্যক্ষ করা যায়।
লেয়ার মুরগির সাধারণত কমিয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
রোগাক্রান্ত মুরগির লক্ষণগুলোর মধ্যে ঝিমানো, ক্ষুধামন্দা, চোখের চারপাশে জলীয় পদার্থ জমা হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মুখ গহ্বরের তালুতে এবং ঊর্ধ্বশ্বাস নালীতে ঘা এর সৃষ্টি হয়।
সোলন হেড সিনড্রোম
চিকিৎসা ব্যবস্থা
এটি একটি ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক রোগ। এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করার জন্য অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ
সময়মতো টিকার মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০১মে ২০২২