মুরগি খামারে জীবনিরাপত্তা মডেল

1466

মুরগি খামারে জীবনিরাপত্তা

ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া, পরজীবী, পোকামাকড়, বন্যপাখি এসব খামারে পালিত মুরগির বাসস্থানে প্রবেশ বা বেঁচে থাকা এবং সংক্রমিত করা অথবা মুরগির কোনো রকম বিপদগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখার সমন্বিত প্রয়াসই জীব নিরাপত্তা।

সংক্রমণের উৎস:
রোগ জীবাণুসমূহ পাখিদের মলমূত্র, নাক, মুখের নিঃসরণ রক্ত চোষা কীটসহ সাধারণত বায়ু, লিটার, পানীয়জল, খাদ্য ও খাদ্যপাত্র, শারীরিক স্পর্শ, যন্ত্রপাতি যেমন- ব্রুডার এবং বাসা, কাপড়-চোপড়, কীট পতঙ্গ, বন্য পাখি, কুকুর, বিড়াল, বন্য প্রাণি, ডিম বহনকারী ট্রে ও যানবাহন এবং মাংস বিক্রেতা, ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ছড়ায়।

জীবনিরাপত্তা মডেল:

১। স্থান নির্বাচন

  • খামারটি যেনো লোকালয়ের মাঝে না হয় অর্থাৎ ১০০ মিটারের দূরত্বের মধ্যে দেশী মুরগি, হাঁস, কবুতর বিচরণ না করে।
  • খামারটির আধা কিলো মিটারের মধ্যে মুরগির বাজার, সদর রাস্তা বা হাঁস মুরগি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প না থাকে।
  • খামারটির চারিদিকে পর্যাপ্ত খোলামেলা স্থান থাকতে হবে, যাতে পর্যাপ্ত আলো বায়ু চলাচল করতে পারে।
  • জলাশয় বা পুকুর যেখানে অতিথি পাখি বা জলজ হাঁস বিচরণ করে এমন স্থানের নিকটে খামার স্থাপন করা যাবে না।

২। মুরগির ঘর তৈরি

  • মুরগির ঘর হতে হবে পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি এবং উত্তর দক্ষিণে খোলা। ঘরের চারিদিকে কমপক্ষে ১০ ফুট স্থান বাফার এলাকা হিসাবে সকল সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
  • কর্মিদের অবস্থান এবং খাদ্য ও যন্ত্রপাতি রাখার জন্য মুরগির ঘরের সাথে পৃথক কক্ষ থাকবে এবং মূলফটকে আলাদা কক্ষ থাকবে।
  • খামার তৈরির সময় খামারের চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিতে হবে। যা কমপক্ষে ৬ ফুট উঁচু হবে। মূল ফটক ছাড়া অন্য কোনো দিক দিয়ে কোন কর্মিচলাচল বা মালামাল আনা নেওয়া করা যাবে না।
  • নিরাপত্তা বেষ্টনি অতিক্রম করে গৃহপালিত বা বন্য প্রাণি যাতে প্রবেশে করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • মূলফটকে নিরাপত্তা কর্মি সকল তথ্য সংরক্ষণ করবেন। যেমন- কারা এবং কি কি মালামাল প্রবেশ বা বাহির হয়েছে।
  • অনুমোদিত প্রবেশের সময় প্রয়োজনীয় এমন সকল সরঞ্জাম মূলফটকে সংরক্ষণ করা হবে। যেমন- পরিষ্কার পোষাক, জীবাণুনাশক এবং স্প্রেমেশিন এসব।
  • একমুখি চলাচলের জন্য খামারের ভিতরে রাস্তা থাকবে।

৩। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা
ব্যবস্থাপক, সুপারভাইজার এবং খামার মালিকেরা পরিচ্ছন্নতা নিয়মাবলীর রক্ষক হতে পারেন। দর্শনার্থীরা খুব অল্প অসুবিধার কারণ সৃষ্টি করতে পারে যদি উক্ত ব্যক্তিগণ দর্শনার্থীদের সঠিক নিয়মাবলী মেনে চলতে বা মানার ব্যবস্থা করেন। বিশেষকরে যদি কোন দর্শনার্থী মুরগির শেডে প্রবেশ করতে চান তবে খামারের জন্য নির্দিষ্ট জুতা পড়ে জীবাণুনাশক দ্রবণ হাত পা ধুয়ে খামারে প্রবেশ করতে হবে। এক সেডের এটেনডেন্ট অন্য শেডে বা ফার্মে যেতে পারবে না। চলবে…..