গতরাতে আপনাদের উপর রাগ করে পরে রাগ নিজের উপর হল। আমি তো আপনাদের বলিনি মুরগি কেন ঠোকরা ঠুকরি করে। তা হলে আমার তো রাগ করার অধিকার নেই (যদিও আপনারা এসব আগে থেকেই জানেন)। সে যাই হোক আজ আমি মুরগীর ক্যানাবলিজম নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা এবং আইডিয়া শেয়ার করব।
ক্যানাবলিজম কি?
এটাকে মুরগির একপ্রকার বদঅভ্যাস বলা যেতে পারে যেটা সাধারণত কিছু ম্যানেজমেন্ট জনিত এবং কিছুটা পুষ্টিগত কারনে হতে পারে।
ক্যানাবলিজম গুলোর মধ্যে ফেদার পিকিং বা ঠোকরা ঠুকরি একটি। এটা একটা মুরগি থেকে অন্য মুরগি শিখে এবং খুব দ্রুত পুরো শেডে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানাবলিজম প্রতিরোধ করা এর চিকিৎসা থেকে সহজ।
কারন:-
১। শেডে মুরগির অতিরিক্ত ঘনত্ব হলে এটা দেখা দিতে পারে।
২। প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার এবং পানির পাত্র দিলে।
৩। অতিরিক্ত গরমের কারনে হতে পারে।
৪। বেশী আলো দেয়া হলে।
৫। পুষ্টি স্বল্পতা, সরচরাচর প্রোটিন, সোডিয়াম এবং ফসফরাসের স্বল্পতা হলে।
৬। অতিরিক্ত এনার্জি এবং লো ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য দিলে।
৭। মুরগী ঠোকরা ঠুকরি করে তার স্বভাবগত খুটে খাওয়া স্বভাবের কারনে।
৮। লবণের ঘাটতি হলে।
৯। শেডে আক্রান্ত অথবা মৃত মুরগি বেশীক্ষণ রাখলে।
১০। ভিন্ন ভিন্ন বয়সের মুরগি একত্রে রাখলে।
১১। আবহাওয়া ঘন ঘন বদলালে।
১২। গায়ে বহি:পরজীবী হলে ।
১৩। কক্সিডিওসিস থাকলে।
প্রতিরোধ:-
১। উল্লেখিত কারনগুলো ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকলে সমাধান করতে হবে।
প্রতিকার:-
১। আক্রান্ত মুরগি সরিয়ে ফেলতে হবে।
২। আলো কমিয়ে দিতে হবে। সাদা আলোর পরিবর্তে লাল আলো দিতে হবে। দিনের বেলা পাতলা চট চারপাশে দিতে হবে।
৩। মুরগী খুটে খেতে পারে এমন জিনিস যেমন নিম পাতা দেয়া যেতে পারে।
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং পানির পাত্র দিতে হবে।
৫। শেডে মুরগির ঘনত্ব বেশী হলে মুরগী পাতলা করে দিতে হবে।
৬। ঠোট ছ্যাকা দিতে হবে (১২ দিনের মধ্যে)
৭। খাবারের সাথে লবণ দেয়া যেতে পারে।
৮। ভাল মানের মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দেয়া যেতে পারে।
৯। বহি:পরজীবী থাকলে চিকিৎসা করতে হবে।
বি.দ্র:- এখানেই সব তথ্য আছে তা নয়। আমি আপনাদের কাছ থেকে কমেন্টে আপনাদের আন্গিকে পরামর্শ এবং সমাধান আশা করছি। যা পরবর্তীতে পোষ্ট এডিট করে দেয়া হবে।
পোস্ট টি লিখেছেনঃ ডাঃ মাসুদুল ইসলাম শিবলী, সিনিয়র কাস্টমার সার্ভিস অফিসার,নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪জুলাই ২০২২