মুরগি পালনে যা জানা প্রয়োজন

425

১। খামারে প্রবেশের পূর্বে হাত-পা সাবান দিয়ে ধুয়ে অতঃপর জীবাণুনাশক স্প্রে করুন ।

২। খামারের কর্মচারী ও পরিদর্শকদের জন্য আলাদা জুতার এবং সম্ভব হলে আলাদা পোশাকের ব্যবস্থা করতে হবে।

৩। একই ফার্মে বিভিন্ন বয়সের মুরগি পালন না করা ।

৪। সঠিক পন্থায় ব্রুডিং করা – পর্যাপ্ত তাপ, বায়ু চলাচল, ফিড, পানি, জায়গা, ইত্যাদি প্রদান।

৫। একটি ব্রুডারে বা গার্ডে; ইলেকট্রিক ব্রুডারের ক্ষেত্রে ২৫০-৩০০ মুরগির বেশি পালন করা উচিত নয় । গ্যাস ব্রুডারে (কোম্পানী অনুযায়ী) প্রতি গার্ডে ৫০০-১০০০ মুরগি পালন করা যেতে পারে ।

৬। সর্বদা বিশুদ্ধ পানি ও সুষম খাবার সরবরাহ করুন।

৭। ব্রুডিং চলাকালীন সময়ে খাবার পাত্র কখনও খালি রাখা যাবে না; খাদ্যের অপচয় রোধে পাত্রের ১/

৮। আবহাওয়া অনুযায়ী প্রতি ১-৩ দিন পর পর একটু একটু করে মুরগির জায়গা বাড়াতে হবে যেন তাপ, খাদ্য, পানি গ্রহন, চলাচল এবং বিশ্রামের জন্য মুরগি পর্যাপ্ত জায়গা পায় ।

৯। মুরগির ঘরের পর্দা অবশ্যই সব সময় নিচে আটকানো থাকবে । পর্দা নিচ হতে উপর দিকে উঠা-নামা করবে। মনে রাখতে হবে মুরগির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল বাতাস চলাচল বা ভেন্টিলেশন ।

১০। সম্পূর্ন পালক না হওয়া পর্যন্ত এবং অত্যাধিক গরমের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় মুরগির গায়ে সরাসরি বাতাস দেয়া যাবে না ।

১১। ৩-৫ দিন বয়স হতে অপেক্ষাকৃত হালকা বা দুর্বল বাচ্চাগুলোকে আলাদা করা । ৭-৮ দিন বয়স হতে সম্পুর্নভাবে ছোট-বড় মুরগি বাছাই বা গ্রেডিং শুরু করা ।

১২। মুরগির শেডে অবশ্যই ছোট-মাঝারি-বড় ৩ টি গ্রেডে মুরগি পালন করা ।

১৩। ড্রিংকার মুরগির গলা বরাবর এবং ফিডার মুরগির পিঠ বরাবর উচ্চতায় রাখুন যেন মুরগি স্বাচ্ছ্যন্দে পানি ও খাবার খেতে পারে ।

১৪। বড় মুরগির ক্ষেত্রে প্রতি ৪ ফুটের মাঝে অবশ্যই ফিডার ও ড্রিংকার থাকতে হবে ।

১৫। প্রতিদিন ১-২ বার ভালভাবে লিটার নাড়িয়ে দিয়ে লিটারের যত্ন নিন । এসময় খাবার ও পানির পাত্র যেন নোংরা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন । লিটার নাড়ানোর সময় ঘরের পর্দা কিছুটা নামিয়ে দিয়ে বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করা উচিত যেন ধুলাবালির কারনে মুরগির শ্বাস কষ্ট না হয় ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৯ জানুয়ারি ২০২২