‘মুরগি-মাছের খাবার পাটের বস্তায় মোড়কীকরণের সিদ্ধান্ত এ শিল্পের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে’

991

মাছেভর-খাবর

মুরগি ও মাছের খাবার পাটের বস্তায় মোড়কীকরণে বাজারে এ দুই পণ্যের মূল্যের প্রভাব পড়বে এবং সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সরকারি সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)।

তারা সাংগঠনিকভাবে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সংগঠনটির নেতাদের জানান, পাটের বস্তায় খাবারের মান রক্ষা করা যায় না। এ ছাড়া এতে পণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। ডিম ও মুরগির মাংসের দামে এর প্রভাব পড়বে এবং সাধারণ ভোক্তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। মুরগিও মাছের খাবারের মান উন্নয়নের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোক্তারা যখন রপ্তানির কথা ভাবছে তখন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে এ শিল্পের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে।

দেশেও এ সিদ্ধান্তের বাস্তবতার নিরিখে মূল্যায়ন করে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফিআবের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, “পাটের বস্তায় এসব পণ্য মোড়কীকরণে সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত ফিড সংরক্ষণ করা সম্ভব। আমাদের দেশের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পারিমাণ অনেক বেশি বলে বাতাসের সংস্পর্শে ফিডে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে এবং ফিড বিষাক্ত হয়ে পড়ে। দ্রুত পচন ধরে বলে তা মাছ ও মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।”

ফিআবের সাধারণ সম্পাদক আহসানুজ্জামান বলেন, “ফিডের মোড়কে প্রস্তুকারকের পিপি ওভেন ব্যাগ ব্যবহার করে তা পচনশীল। ৫০ কেজি ধারণক্ষমতার একটি পিপি ওভেন বস্তার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেখানে একটি পাটের বস্তার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অর্থৎ পাটের বস্তার কারণে প্রতিব্যাগ ফিডের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাক বেড়ে যাবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

দেশের অগ্রসরমান এ শিল্পের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে তারা সরকারে এ আইনের সংশোধন করা অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে বছরে অন্তত এক কোটি বস্তা প্রয়োজন হয়। সময় মতো এ পরিমাণ পাটের বস্তা পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ফিড সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে । সে ক্ষেত্রে বাজারে মুরগির মাংসের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। এবং পণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়বে। কাজেই এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে এবং প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সরকারকে তার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান তারা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন