বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। অথচ ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগী। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে এই দামে।
ক্রেতারা বলছেন, খেয়াল খুশিমত পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। এক সপ্তাহ না যেতেই কেজিতে দাম বাড়িয়েছেন অন্তত ২০ টাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ভোক্তা সাধারণ। এজন্যে তারা দায়ী করছেন আসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও নিয়মিত বাজার মনিটিরিং না করাকে।
জানা গেছে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই দেশের বাজারে ওই পণ্যের দামে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ২০-২৫ টাকা থেকে একলাফে ৮০-৯০ টাকা ধরে বিক্রি শুরু হয় পেঁয়াজ। দিনে দিনে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। পরে মিয়ানমার থেকে রপ্তানি শুরু হলে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে মোটেও এর প্রভাব পড়েনি।
বিভিন্ন পাইকারি দোকানে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ১৩০ টাকায়। কেউবা বিক্রি করছেন ১২৫ টাকায়। সদর ব্যতীত অন্যান্য বাজারের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই পেঁয়াজ রাখছেন না ব্যবসায়ীরা।
যারা রাখছেন তারা আরও উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
ক্রেতারা বলেন, বর্তমানে মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। বাজারে মোরগের চাইতে পেঁয়াজের দাম বেশি। ১৩০ টাকা হলে গড়ে ১টি পেঁয়াজের দামই ১১-১২টাকা। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য মসলার সাথে পেঁয়াজ কেনা কঠিন হয়েছে পড়েছে।
খুচরা ব্যসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ কিনতে আমাদের খরচ বেশি। তাছাড়া পঁচে নষ্টও হয় কিছু। তাই এমন দামে বিক্রি করছি আমরা।
পাইকারি ব্যবসায়অরা বলছেন, আড়তদাররা দাম না ছাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কেজি প্রতি খরচসহ ১১৬-১১৭ টাকায় কিনতে হয় আমাদের। সামান্য মুনাফায় ১২০টাকায় বিক্রি করি আমরা।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, শুধু এখানে না, সারা দেশেই দাম বেড়েছে। সকল উপজেলায় মনিটরিং করা হচ্ছে। শ্রীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ