মুরগীর হিটস্ট্রোক হলে খামারিরা যা করবেন

499

হিটস্ট্রেস হতে হয় হিটস্ট্রোক।মারা যায় মুরগী।

মূলত হিট স্ট্রেস ঘটে যখন পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা সংকটপূর্ন মাত্রাকে অতিক্রম করে তখন ফ্লকের শরীরের অতিরিক্ত তাপ বের করে দিতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পরে।।

যেহেতু মুরগী ঊর্ধ্বশ্বাস/panting এর মাধ্যমে ইভাপোরেশন প্রক্রিয়াতে শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বের করার চেষ্টা করে ফলে এতে এর শরীরের বিভিন্ন অসংগতি দেখা দেয়।

১/ শরীরে ধারনকৃত পানি,এসিড ও মিনারেলের হ্রাস বা অপচয় ঘটে।

২/ অ্যালকালোসি্স এর দিকে অগ্রসর হয়।

৩/ ইলেক্ট্রলাইট ব্যালেন্সে বাধা প্রাপ্ত হয় এবং ডিহাইড্রেশন/পানি শূন্যতায় ভোগে।

যখন ফ্লক হিট স্ট্রেসের স্বীকার হয় এরসাথে সাথে তাদের শরীরের তাপমাত্রাও অনেক বৃদ্ধি পায়।এবং প্রতি ১°C তাপ বৃদ্ধিতে এদের শরীরের ২০-৩০% মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।ফলে….

=> ফ্লক অধিক পানি পান করে।
=> পাল্স রেট কমে যায়।
=> ওয়াটারি ড্রপিং (পানি পায়খানা)এর পরিমান বাড়ে।।

সুতরাং ঘাটতি প্রতিকারের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় (Selectolyte) ইলেক্ট্রোলাইট(স্যালাইন)দিতে হবে।।

হিট-স্ট্রেস চলাকালীন সময়ে করনীয়:-

১/ ঘন ঘন পানি পরিবর্তন করে ঠান্ডা পানি দিতে হবে।প্রয়োজনে পানিতে বরফ দেওয়া যেতে পারে।

২/ স্ট্রেস কমাতে ভিটামিন সি ও স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।

৩/ হিট-স্ট্রেস চলাকালীন সময় মূলত (দুপুর১-৪ টা) ।প্রয়োজনে এসময় ফিড রেস্ট্রিকশান মানা যেতে পারে।কেননা অত্যাধিক গরমে মুরগীর খাদ্যস্থিত এনার্জি মেটাবলিজমের কারনে মুরগীর শরীরে অত্যাধিক তাপ উৎপন্ন হয়।আর এই এনার্জি মেটাবলিজমের কারনে ফ্লকের শরীরের তাপ প্রায় ৫-৭% বেড়ে যায়।।যার কারনে হিট স্ট্রেস মর্টালিটিতে রুপ নেয়।

৪/ ঠান্ডা পানিতে গুড় ও লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে।

হিট-স্ট্রেস এর ক্ষতিপূরনে করনীয়:-
ভিটামিন,মিনারেল ও অনন্যা সাপ্লিমেন্ট:

#জিংক:- জিংকের এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও অন্ত্র সুস্থতার বৈশিষ্ট রয়েছে।এটি বিভিন্ন এ্যানজাইমের সহউৎপাদক।যা গ্রোথ ও হাড় গঠনে সহায়ক।
বাড়তি জিংক হিট স্ট্রেস চলাকালীন অক্সিডেটিভ প্রভাবের ক্ষতি লাঘব করে।

#ভিটামিন_সি_ও_ই:-

ভিটামিন সি ও ই স্ট্রেসের কারনে করটিসলকে সমন্বিত রাখে,অতিরিক্ত তাপমাত্রার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুরগীকে রক্ষা করে।

হিট-স্ট্রেস চলাকালীন সময়ে খামার ব্যবস্থাপনা:-

১/ সেডের চালের উপর চট,ছালা,পাটের বস্তা বিছিয়ে রাখতে হবে এবং রোদের সময় চালে পানি ছিটিয়ে উক্ত চট,বস্তা ভিজিয়ে দিতে হবে।এতে তাপ/হিট কিছুটা লাঘব হবে।

২/ খাামারে তাপকুপরিবাহি কিছু দিয়ে সিলিং করে দেওয়া উচিত।।যাতে সূর্যের উত্তাপ ঘরে কম ঢুকতে পারে।

৩/ হিট-স্ট্রেস কমানে উক্ত সময়ে পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

৪/ লিটারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৫/ ফ্লকের ঘনত্ব কম রাখা।অর্থাৎ ফ্লক প্রতি জায়গা বেশি দেওয়া।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫আগস্ট২০