মুরগী বিক্রি বাড়ছে

1417

জীবন্ত মুরগীর বিক্রি বেড়েছে কুমারখালীতে। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে পোল্ট্রি (ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালী মুরগী) খেলে এমন গুজবের কারণে ব্যাপক ধ্বস নেমে আসে পোল্ট্রি শিল্পে। ফলে কুমারখালীর জীবন্ত মুরগী বিক্রেতাদের দোকান প্রায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।

কিন্তু এ অঞ্চলে নিরাপদ পোল্ট্রি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মুরগীর খামারী, ডিলার ও জীবন্ত মুরগী বিক্রেতাসহ ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করে যাওয়া বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশন গুজবে কান না দিতে ভোক্তাদের উদ্দেশ্যে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন কুমারখালীতে। সেই সাথে পোল্ট্রি খেলে করোনা হয়না, বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে পোল্ট্রি।

সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, কুমারখালী পৌর বাজারে জীবন্ত মুরগী বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ক্রেতা সাধারনের আনাগোনা বেড়েছে। জীবন্ত মুরগী বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন জানান, গত মাসে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে। যে সকল ক্রেতারা নিয়মিত পোল্ট্রি ক্রয় করতো তারা করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মুরগী ক্রয় করেনি। কিন্তু বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশানের প্রচার প্রচারণার কারণে এবং জাতীয় পর্যায় থেকে বেশকিছু গণমাধ্যমে পোল্ট্রি খেলে করোনা হয়না এ সংক্রান্ত খবর প্রচারের পর থেকে ধীরে ধীরে ক্রেতা সাধারন মুরগী খেতে শুরু করেছে।

এদিকে, দুর্গাপুর গ্রামের জীবন্ত মুরগী খামারী শাওন জানান, পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি পদক্ষেপ খুবই জরুরী প্রয়োজন। অন্যথায় আমরা খামারীরা দেউলিয়া হয়ে যাবো খুব তাড়াতাড়ি। তাদের দাবী, কম দামে মানুষের শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে মুরগীর মাংস খাওয়া দরকার, এমন প্রচারণা দরকার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। তাহলেই মানুষ মুরগী খাবে এবং আমরা খামারীরা বাঁচবো।

আর মানুষ যদি মুরগী না খায়, তাহলে মুরগী বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুরগী বিক্রি না হলে আমরা খামারীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবো।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯এপ্রিল২০