ভোলা: জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে মৎস্য শিকার শুরু হচ্ছে। ১ মার্চ থেকে মেঘনা ও তেতুলিয়ার ১৯০ কিলোমিটার এলাকার অভায়শ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ।
মূলত এ সময়টা মাছের ডিম দেয়ার মৌসুম। তাই ডিম ছাড়ার প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে করতেই সরকারের এ উদ্যোগ। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।
এদিকে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য শিকারের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলেরা। রাত ১২টার পর থেকেই জেলোরা নতুন উদ্যমে মাছ ধরতে নদীতে নেমেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এসএম আজাহারুল ইসলাম জানান, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দিয়ে এ বছর অভায়শ্রমে সফলভাবে পালিত হয়েছে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞা। সরকারের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ফলে জেলেরাও পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তারপরেও আইন অমান্য করায় ২৫৭ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড দেয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে সকলের সহজোগিতায় সরকারের এই কার্যক্রম অনেকটাই সফল হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, জেলার নিবন্ধিত ১ লাখ ৩২ হাজার জেলেসহ মোট প্রায় ৪ লাখ জেলে বর্তমানে মৎস্য শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অধিকাংশ জেলেই ধার-দেনা করে নদীতে জাল ফেলবেন। তাই প্রকৃত জেলে ও সঠিক সময়ে সরকারি সহযোগিতা প্রদাণের দাবি জানান জেলেদের এ নেতা।
সদর উপজেলার শীবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকার জেলে আইজউদ্দিন, নেয়ামত ও সিদ্দিকউল্লা বলেন, সরকারের এ উদ্যেগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এ সময়টাতে সকল জেলেদের প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এ কার্যক্রম শতভাগ সফলতা অর্জন করবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, অভায়শ্রমে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মাছে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে দেশ। এতে করে শুধু জেলেরা নয় আমরা সকলেই উপকৃত হবো।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মৃার২৪ডটকম/ মোমিন