পেঁয়াজের কেজি দুই-একদিনের মধ্যে ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমন আশ্বাস দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের কেজি এখনো ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, মুগদা, ফকিরাপুল ও সেগুনবাগিচা অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বার্মা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৬০ টাকা। মিসর থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে পানামা ট্রেডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আসছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। এতে দাম কিছুটা কমেছে। তারা আশা করছেন শিগগির পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ তড়িঘড়ি আমদানি করা ঠিক হয়নি। কারণ সেখান থেকে আসা প্রায় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট।
খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় গত সপ্তাহে হু হু করে বেড়ে যায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর সব অঞ্চলের বাজারেই পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার বেশি। পেঁয়াজের দামের নাগাল টেনে ধরতে মিয়ানমার থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত বুধবার মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মিয়ানমার থেকে ৪৮৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। আরও ৪০০-৫০০ টন আজ আসবে। ফলে দুই- এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর দুই দিন চলে গেলেও পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার উপরেই রয়েছে। সেগুনবাগিচা ও ফকিরাপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০-১২০ টাকা বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সেগুনবাগিচার ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, ‘পাইকারি থেকে আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা যদি কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারি, তাহলে অবশ্যই কম দামে বিক্রি করব। আজ-কালের মধ্যে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
রামপুরায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ‘ব্যবসায়ীরা ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৮০-১০০ টাকা কেজি। রামপুরার ব্যবসায়ী বাবু এ বিষয়ে বলেন, দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম কমায় এখন ১০০ টাকা বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম আরও কমলে আমরা কম দামে বিক্রি করব।’
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ