মেহগনি গাছের ফল থেকে ভেষজ কীটনাশক

1853

কৃষিতে ব্যাপক রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিশ্বে পরিবেশ যখন বিপর্যস্ত হতে চলেছে, প্রয়োজনীয় খাবারের জন্য তখন বিশ্বব্যাপী এক পরিবেশবান্ধব কৃষির দিকে অগ্রসর হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং প্রাণবৈচিত্র্যের হুমকি থেকে রক্ষার জন্য রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব কীটনাশকের ব্যবহারের মাত্রা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। জৈব উপাদান ব্যবহার করে কীটনাশক তৈরি করে এই অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব। নিন্মের উপাদান ব্যবহার করে জৈব কীটনাশক তৈরি করা যায়-

মেহগনির ফল থেকে পরিবেশবান্ধব এই ভেষজ কীটনাশক তৈরির জন্য এক কেজি ফল সংগ্রহ করে কেটে কুচি কুচি করে বা পিষে (বাটা) একটি পাত্রে পাঁচ লিটার পানির সঙ্গে ভিজিয়ে রাখতে হবে। চার-পাঁচ দিন পর এটি তুলে ভালোভাবে সুতিকাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। প্রাপ্ত পানির নির্যাসই হচ্ছে কীটনাশক। এ নির্যাসের সঙ্গে ২০ গ্রাম সাবান বা ডিটারজেন্টের পানি এবং পাঁচ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে ২০-২৫ মিনিট আগুনের তাপে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর তা হবে পোকামাকড় প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ব্যবহার-উপযোগী মেহগনি জৈব কীটনাশক। এ নির্যাস ঠাণ্ডা হলে এতে পাঁচ গুণ পরিমাণ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে।

এ কীটনাশক ব্যবহারে ধানের মাজরা পোকা, পাতামোড়া রোগ, বাদামি গাছ, ফড়িং, জাব পোকা, পাতা ছিদ্রকারী পোকা দমনে ভালো ফল পাওয়া যায়। সবজিতে পোকামাকড় দমনসহ ছত্রাক নাশ ও নানা রোগব্যাধি দূর করে। এটি ভালো জৈব সার হিসেবেও কাজ করে, যা বাজারে পাওয়া ইউরিয়ার চেয়ে বেশি কার্যকর।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৪এপ্রিল২০