মেহেরপুর সংবাদদাতা : কুরবানির পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের খামারি ও কৃষকরা। গত বছর আশানুরুপ দাম পাওয়ায় এবারও ভালো দামের আশায় রয়েছেন গরু মালিকরা। তবে ভারতীয় গরু আমদানি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে পশুপালন এক গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে দুয়েকটি করে গরু পালন যেন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এসব গরু কুরবানির সময় বিক্রি করা হয়। গরু, ছাগল ও ভেড়া বিক্রির টাকাগুলো একসঙ্গে হাতে আসার ফলে আর্থিক উন্নতি করতে পারছেন এসব পরিবার। তাই প্রতি বছরই গবাদি পশুপালনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারের সংখ্যাও বাড়ছে বলে প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে কুরবানির জন্য জেলায় ৬১০টি মহিষ, ৩৬ হাজার ৯১৪টি গরু, দুই হাজার ২৮২টি ভেড়া ও ৫৯ হাজার ৪৯০টি ছাগল রয়েছে। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গরু খামার রয়েছে ৭৭৬টি, ছাগল খামার ৩৪৯টি এবং ২৫৬টি ভেড়া খামার রয়েছে।
পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের অ্যাবকম ক্যাটেল ফার্মের স্বত্বাধিকারী মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এবারও তার খামারে কুরবানির উপযুক্ত শতাধিক গরু রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা গরু কিনতে আসছেন। দরদাম ঠিক না হলে ঢাকার পশুহাটে গরু তুলবেন তিনি।
গোখাদ্যের দর বৃদ্ধিতে লোকসানের আশঙ্কা প্রকাশ করে এই খামারি বলেন, ঘাস, বিচুলি, খড় ও সুষম খাবারের দাম বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি দরে খাদ্য কিনতে হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মেহেরপুর জেলায় ক্ষতিকর স্টোরয়েড দিয়ে গরু পালন করা হয় না। দেশীয় খাবার দিয়েই গরু পালন করা হচ্ছে। খামার ও ব্যক্তিপর্যায়ে পালিত পশু কুরবানির উপযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। নির্বিঘ্নে কুরবানির জন্য পশু বিক্রি করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন প্রাণিসম্পদ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সূত্র: আরএন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন