মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

787

মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সংক্রামক রোগ। এ রোগে খামারির অসম্ভব লোকসান হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিড়ম্বনায় খরচ করে ফেলেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ। তাই মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে রাখা উচিত।

মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ:

উচ্চ মত্যু হার। রোগ ডিমের মাধ্যমে সংক্রামিত হলে ছানা ফুটার ট্রেতে মৃতপ্রায় ছানা দেখা যায়। মলদ্বারের চারপাশে সাদা মল লেগে থাকে। অতিতীব্র প্রকৃতির রোগে পাখি হঠাৎ করে মারা যায়। সবুজ বা হলুদ বর্ণের অতি দূর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া দেখা দেয়। মাথা ও ঝুটি বিবর্ণ ও সংকুচিত হয়।

মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ:

আক্রান্ত মুরগির ডিম ফুটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ডিম ফুটানোর পূর্বে ইনকিউবিটর ও হ্যাচারী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ডিম ফুটাতে হবে। বাসস্থান, খাদ্য ও পানির পাত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দ্রুত চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়।

চিকিৎসাঃ
কোট্রিমোক্সাজোল, ক্লেরামফেনিকেল এবং পেনিসিলিন গ্রুপের ঔষধ এ রোগে বেশ কার্যকরী। সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে ভিটামিন ও মিনারেলের ব্যবহার দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করে।

মোরগ-মুরগির ফাউল টাইফয়েড রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সংবাদের তথ্য ই লাইভস্টোক থেকে নেওয়া হয়েছে।

মুরগির মাথা ফোলা রোগ একটি মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগ। এটি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু । এটি পশু বা পাখি হতে মানুষে এবং মানুষ হতে পশু বা পাখিতে সংক্রমিত হতে পারে। মুরগির মাথা ফোলা রোগের চিকিৎসা করবেন যেভাবে।

দেশী মুরগীর ক্ষেত্রে-লক্ষণঃ
এ রোগে আক্রান্ত মুরগির সংস্পর্শে আসা উচিৎ নয় কোন ভাবেই।এ রোগে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক। মুরগির মাথা ফুলে যাওয়া একটি প্রধান লক্ষণ। মাথা গাঁঢ় নীল রং ধারণ করে, মুরগির চামড়ার নিচে এবং পায়ে রক্ত জমাট বাধে ।

খামারের মুরগির ক্ষেত্রে-লক্ষণঃ

খামারের মুরগির অসুস্থতা দ্রুত বাড়তে থাকবে। কোন চিকিৎসা দিয়ে মুরগি ভাল হবে না। খামারের মোট মুরগির ৫ শতাংশ হারে মুরগি মরতে থাকবে এবং প্রতিদিন মৃত্যুর হার বাড়তে থাকবে ।

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত কোন মুরগি খালি হাতে ধরা যাবে না। ভুলবশত মুরগি ধরে ফেললে সাথে সাথে সাবান দিয়ে হাত ভাল করে ধুতে হবে। মৃত মুরগি মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে। কোন এলাকায় মুরগির মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক মনে হলে সাথে সাথে ডাক্তারকে জানাতে হবে।

এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত খামারের সকল যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা গ্লুটারএল্ডিহাইড জাতিয় ডিজইনফেকটেন্ট দ্বারা ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার বিষয়ে দেশের সকল জনগণকে সচেতন হতে হবে ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬নভেম্বর২০২০