অধিক ঘনত্ব, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, পানির গুণাগুণ নষ্ট হওয়াসহ নানাবিধ কারণে মাছের যেসব সমস্যাগুলো হতে পারে। তা মৎস বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শক্রমে প্রাথমিকভাবে সমাধান করা যায়।
১ । মাছের খাবি খাওয়া, দূর্বল হয়ে কিনারে ভাসা: অধিক ঘনত্ব, অধিক জৈব পদার্থের পচন, Phytoplankton ব্লুম ঘটা, কাঁচা গোবর, হাস মুরগির বিষ্টা ব্যবহার, আকাশ মেঘাছন্ন থাকলে এ সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে পানি পরিবর্তন, সাতার কাটা, পানিতে টেউ সৃষ্টি করা এবং অক্সিজেন বাড়ানোর ওষুধ যেমন: Oxyflow, Oxymix, Best Oxygen, Quick O2, OXY-A ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২। মাছে লালা দাগ ও ক্ষত দেখা দিলে: পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে পানির গুণাগুণ নষ্ট হলে এ সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় লবণ, চুন ও জীবণুনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
৩ । পেট ফোলা ও চোখ বের হয়ে আসা: পানি পরিবর্তন করে, চুন, লবণ ও জীবনুনাশক প্রয়োগ এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে।
৪। কাদা ও পানিতে গ্যাস জমে দূর্গন্ধ হওয়া: অতিরিক্ত খাদ্য পচন এবং অধিক জৈব পদার্থের পচনের কারনে এ সমস্যা হতে পারে । এক্ষেত্রে ২-৩ দিন খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রেখে পানি পরিবর্তন করতে হবে। জলাশয়ের কাদা ওলট পালট করে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সাপেক্ষে জিওলাইট Procef, Gasonex, Amonil, GreenTuff ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে।
৫। পানির PH কমলে বা বাড়লে: পানির PH ৭.৫ থেকে ৯.০ হওয়া ভালো। কমলে চুন ও জিওলাইট এবং ফসফেট সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৬। উকুন দেখা দিলে: এক্ষেত্রে মাছের ছুটাছুটি বেড়ে যাবে। শক্ত জিনিসের সাথে গা ঘষতে থাকবে। এক্ষেত্রে সুমিথিয়ন বা ডিপটারেক্স সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭। পানিতে হাঁস পোকা দেখা দিলে: এক্ষেত্রে সুমিথিয়ন ও ডিলিট্রিক্স প্রয়োগ করা যেতে পারে।