মৎস্য সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়ন সম্ভাবনা

573

মৎস্য-সেক্টরে-নারীর-অংশগ্রহন--300x194

সারা বিশ্বে আজ উৎপাদনমূলক কাজে নারী-পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উন্নয়নের এক মূল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও অনুন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশে সামাজিক ও প্রজনন বিষয়ে নারীর ভূমিকা যতটা দৃশ্যমান, ততটা নয় উৎপাদনমূলক কর্মকাণ্ডে।

এর অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, গ্রামীণ এলাকায় উৎপাদন ও আয়মূলক কাজে নারীর অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয় সুযোগ ও সচেতনতার অভাব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশের মূল জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারীদের সমসুযোগ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে নারীকে সার্বিক উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, নারীদের অংশগ্রহণ অধিকতর বৃদ্ধির পক্ষে সমর্থন যোগানো, তাদের অবদানকে সর্বার্থে ও সর্বক্ষেত্রে স্বীকৃতি দিয়ে এ সমর্থন বাড়ানো, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রযোজ্য কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদানের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নারীর অংশগ্রহণের নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র।

নারীর ক্ষমতায়ন, সমসুযোগ, সমঅধিকার, প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নে মূল স্রোতধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নকল্পে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্যসমূহ:

•নারী জাতীকে জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিতকরণ।
•সরকারি সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিওসমূহ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের জন্য একটি সমন্বিত ও সুপরিকল্পিত নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা প্রদান।
•নারী উন্নয়নের জন্য গৃহীত বর্তমান কর্মসূচির সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১-এর আলোকে সুষ্ঠু সমন্বয়ের কর্মসূচি প্রদন।
•নারী উন্নয়ন ও নারী অধিকারের স্বপক্ষে প্রণীত দেশীয় আইন, নীতি এবং আন্তর্জাতিক সনদ ও দলিলসমূহের বাস্তবায়ন।
•সার্বিকভাবে জাতীয় উন্নয়নে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়া।

চলবে…..
সূত্র: বিএলআরআই

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম