অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় এখানে লতা জাতীয় মসলার চাষ বাড়ছে। ওষুধি গুণ সম্পন্ন চুই ঝাল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে যশোরের অনেক পরিবার।
যশোরে চুই ঝাল একটি জনপ্রিয় মসলা। মাংস ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের এই চুই ঝাল ব্যবহার হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে চুই ঝালের কদর দিনদিন বাড়ছে। বাসাবাড়ি, হোটেলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খাবারে চুই ঝাল ব্যবহার করা হচ্ছে।
চুই লতা জাতীয় গাছ। কাণ্ড থেকে বের হওয়া আকর্ষিক বিশেষভাবে রোপণ করলেই গাছ হয়। বাড়ির পাশে থাকা আম, সুপারিসহ বিভিন্ন গাছের গোড়া থেকে একটু দ‚রে গর্ত করে চুই গাছের কাটিং লাগিয়ে এ মসলা জাতীয় ফসলের চাষ হয়। এই গাছের কাণ্ড মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়।
কম খরচ ও স্বল্প পরিশ্রম এবং সবসময় পাওয়া যায় বলে দামও ভালো পাওয়া যায়। যার ফলে চুই ঝাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষকরা বলেন, এক একটি চুই গাছ ১০-১৫ বছর পরে ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।
ডা. রবিউল আলম বলেন, চুই ঝাল রুচিবান্ধব। এছাড়া, পেটের পিড়া থেকে শুরু করে অনেক রোগের উপশম করে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ চুই ঝাল চাষে কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে মতে যশোরে ৫০ হাজার চাষী চুই ঝাল চাষে জড়িত।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ