জাহিদুল কবীর মিল্টন, যশোর সংবাদদাতা: যশোরের মণিরামপুরে উন্মুক্ত জলাশয়ে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে এ চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, হাওড়-বাঁওড়ের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি ভাসমান খাঁচায় মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হয়েছে। ২০ জন মৎস্যজীবী নিয়ে একটি দল গঠন করে ১০টি ভাসমান খাঁচা স্থাপন করে খাঁচা প্রতি এক হাজার মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের পোনা অবমুক্ত করে এ চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার ঝাঁপা বাঁওড়ের কোমলপুর গ্রামের জেলেপাড়ার কাছে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্পটি দেখা যায়।
ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করা মৎস্য চাষী শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ আমাদের কাছে একটি নতুন পদ্ধতি। উপজেলা মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় আমরা এ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। ভাসমান খাঁচা তৈরি, মাছের পোনা, মাছের খাদ্য এসব মিলিয়ে খাঁচা প্রতি ১৫ হাজার টাকা খরচ হবে। চার মাস সময়ের মধ্যে মাছ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে খরচ বাদে প্রতি খাঁচা থেকে অন্তত ২০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
মণিরামপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ একটি লাভজনক প্রকল্প। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মাছ উৎপাদন সম্ভব, যা চাষিদের জন্য একটি বাড়তি আয়ের উৎস। সাধারণত সারা বছর পানি থাকে এরূপ নদ-নদী, হাওড়-বাওড়ের উন্মুক্ত জলাশয়ে ভাসমান খাঁচায় এ প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করা যায়। আর এ প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় মাছের চাহিদা পূরণ হয়েও বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন