আখের উইপোকা দমন করার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
আক্রমণের লক্ষণ-
উইপোকা জমিতে রোপন করা বী;জখন্ডের দুই পাশের কাটা অংশ দিয়ে ঢুকে ভিতরের সবকিছু খেয়ে ফেলতে পারে। চোখও এদের আক্রমণের শিকার হয়। বয়স্ক আখ গাছের মাটি সংলগ্ন অংশ দিয়ে ঢুকে কোষসমূহ খেতে খেতে এরা উপরের দিকে উঠতে থাকে। নবীন চারাগুলো এদের আক্রমণে মারা যায়না কিন’ পাতা মলীন হলুদ রং ধারণ করে, কুশি বেরোনো ও শিকড় সৃষ্টি কমিয়ে দেয়।
যান্ত্রিক দমন পদ্ধতি- আশে পাশের জমিতে উই পোকার ঢিপি দেখলে তা কোদাল দিয়ে খুঁড়ে ভেঙ্গে ফেলতে হবে। রাণী উইকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলতে হবে।
রাসায়নিক দমন পদ্ধতি-
নিম্নের ক,খ,গ, ঘ. ঙ এর যে কোন একটি অবলম্বন করে উইপোকা দমন করা সম্ভব।
ক) ১ লিটার পানিতে গাউচো ৭০ ডব্লিউএস ২ গ্রাম/ক্রুজার ৭০ ডব্লিউএস ১ গ্রাম/টিড্ডো ২০ ইসি ৭ মিলি মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে রোপনের পূর্বে বীজখন্ডগুলো ৩০ মিনিট চুবিয়ে শোধন করে রোপন করতে হবে।
খ) রাগবি ১০ জি/পাউন্স ১.৫ জি হেক্টর প্রতি ২০ কেজি বীজখন্ড রোপনের সময় একবার (১ম বার) নালায় এবং মে মাসে (২য় বার) আখের সারির উভয় পাশে নালা কেটে নালায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে রিজেন্ট ৩ জি আর কীটনাশক হেক্টরপ্রতি ৩৩ কেজি রোপনের সময় নালায় বীজখন্ডের উপর ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা লরস্বান ১৫ জি কীটনাশকটি হেক্টর প্রতি ১৫ কেজি রোপনের সময় নালায় প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে সেচ দিতে হবে।
গ) রিজেন্ট ৫০ এসসি কীটনাশকটি হেক্টর প্রতি ২ লিটার অথবা এডমায়ার ২০০ এসএল হেক্টরপ্রতি ১ লিটার হারে রোপনকৃত বীজখন্ডের উপর সেপ্র করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ঘ) ডারসবান ২০ ইসি/ পাইরিফস ২০ ইসি/ ক্লাসিক ২০ ইসি হেক্টরপ্রতি ১১.২৫ লিটার বীজখন্ড রোপনের সময় নালায় (১ম বার) মার্চ মাসে (২য় বার) এবং মে মাসে (৩য় বার) পানির সাথে মিশিয়ে আখের সারির উভয় পাশে নালা কেটে নালায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ঙ) টলস্টার ২ ডব্লিউপি হেক্টরপ্রতি ১০ কেজি হারে পানির সাথে মিশিয়ে রোপনের সময় সেপ্র করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দ্বিতীয়বার মে মাসে গাছের গোড়ায় সেপ্র করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮ফেব্রু২০২০