দেশে ছাগল পালন একটি লাভজনক পেশা। ছাগল পালন করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ছাগল পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে ছাগলের দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন জেনে নেই ছাগলের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে-
ছাগলের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলঃ
বাচ্চা প্রসবের সময় পরিচর্যাঃ
ছাগির বাচ্চা প্রসবের সময় বাড়তি পরিচর্যা করতে হবে। এ সময় ছাগিকে নরম বিছানার ব্যবস্থা করতে হবে। গরমকালে ১ বার গোসল করানো ভালো। শীতকালে তেমন সম্ভব না হলে ব্রাশ দিয়ে শরীরের লোম পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে লোমের অর্থাৎ সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। যা দুধ উৎপাদনে সহায়ক।
পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ:
দেহের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন। পানি দেহের দেহের মেটাবলিজম সঠিক রাখে।
সুষম খাদ্য সরবরাহ:
গর্ভবতী ছাগির জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য সরবরাহ। এ সময় প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি প্রয়োজন। যা ছাগির নিজের জন্য ও বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছাগির পুষ্টির উপর নির্ভর করে ছাগির দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ও বাচ্চার দেহ গঠন। তাই গর্ভবতী ছাগিকে বিশেষভাবে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
কাঁচা ঘাস সরবরাহ:
ছাগির দুধ উৎপাদন বাড়াতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস দুধ উৎপাদন বাড়ায়। ঘাসের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতিতে দুধ উৎপাদন বাড়ায়।
ব্যায়াম করানো:
দীর্ঘদিন পেটে বাচ্চা/ গর্ভবতী থাকায় প্রায় অনেকটা অলস হয়ে থাকে ছাগিগুলো। তাই বাচ্চা হবার পর থেকে ছাগিকে একটু ব্যায়াম (হাঁটানো) এর ব্যবস্থা করতে হবে।
দুধ দোহান বা বাচ্চাকে খাওয়ানো:
দুধ উৎপাদনের পরিমাণের ওপর দুধ দোহন বা বাচ্চাকে খাওয়ানো সংখ্যা নির্ভর করে। বাচ্চা যদি কিছু সময় পর পর দুধ খায় তাহলে ওলানে দুধ বেশী নামবে। এতে দুধ উৎপাদন পরিমাণ বাড়বে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৭জানু২০২০