বর্তমানে গৃহপালিত মুরগি লালবন মুরগির বংশধর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণমণ্ডলীয় জঙ্গলে বিচরণ ছিল এই লাল মুরগির।
৮ হাজার বছর আগে ওই বন মুরগির প্রজাতিকে বশ মানিয়ে গৃহপালিত পাখিতে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পর দ্রুতগতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এর পর মুরগি ব্যবহৃত হতে থাকে মাংস ও ডিমের জন্য।
পঞ্চাশের দশকে কৃত্রিমভাবে মুরগির আকৃতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই থেকে ওজনে ও আকৃতিতে মুরগির অবিশ্বাস্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
লন্ডনে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় খুঁজে পাওয়া মুরগির হাড় নিয়ে গবেষণার পর বলা হচ্ছে- এখনকার মুরগি তাদের আদি প্রজাতির চেয়ে একবারে ভিন্ন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কীভাবে আমাদের পরিবেশ বদলে যাচ্ছে, মুরগি তার একটি প্রতীক।
প্রাণিজগতে বিবর্তন ঘটে কমবেশি ১০ লাখ বছর ধরে। কিন্তু মুরগির ক্ষেত্রে এই বিবর্তন হয়েছে অনেক কম সময়ে।
জঙ্গলে মুরগি দিনে দিনে কমছে, কিন্তু সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে দোকানে মুরগির সরবরাহ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন