বর্তমানে দেশী মুরগির পরই সোনালী মুরগির চাহিদা তুঙ্গে। খামারে উৎপাদন বাড়াচ্ছেন খামারিরা। মাংসের জন্য পোষা হলেও সোনালী মুরগি ডিম দেয় সে বিষয়ে অনেকেরই ধারনা অল্প। সোনালি মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল রয়েছে যা খামারিরা করে থাকেন।
খামারের পাশাপাশি অনেকেই আবার শুধু ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালি মুরগি পালন করেন। তবে খামারে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য ডিম উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। জেনে নিন সোনালি মুরগি পালনে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে।
১. সোনালি মুরগি পালনে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সবার আগে খাদ্য ব্যবস্থায় দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য প্রদানের ভিত্তিতে মুরগির ডিমের উৎপাদন নির্ভর করে থাকে। তাই সোনালি মুরগিকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে।
২. সোনালি মুরগির খামারে সবসময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য খামারটি খোলামেলা স্থানে হলে ভালো হয়। মুরগির খামার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের ভেতরে যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না সৃষ্টি হয়। খামারটি সবসময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৩. খামারে খাদ্যের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের ভেতরে কিছু দূর পরপর পানির পাত্র দিতে হবে।
৪. সোনালি মুরগি পালনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য লেয়ারের মতোই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে আলোকসূচিতে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
৫. খামারের মুরগিকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে।
৬. সময়মতো মুরগিকে কৃমিমুক্ত করতে হবে।
৭. মাঝে মাঝে মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। খামারে লক্ষ্য করুন কোন মুরগিগুলো ডিম দিচ্ছে আর কোনগুলো দিচ্ছে না।
৮. ডিম বৃদ্ধির কৌশল বলতে মোট মুরগির মধ্যে যেসব মুরগি ডিম দিচ্ছে না সেসব মুরগিকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর সেগুলো আলাদা করে বিক্রি করলে মুরগির তুলনায় ডিমের সংখ্যা বাড়বে। বেশি মুরগি খাবার খেয়ে অল্প মুরগি ডিম দেওয়ার ক্ষেত্রে বন্ধ্যা মুরগিকে আলাদা করাকে কার্ল করা বলে। এই পদ্ধতিতে ডিম উৎপাদন বাড়োনো যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৮অক্টোবর ২০২২