যেভাবে হাঁস-মুরগির যত্ন নিলে অধিক লাভবান হওয়া যায়

90

গ্রামীন অর্থনীতির অন্যতম পাথেয় হলো হাঁস-মুরগির পালন।গ্রামের প্রায় সবার ঘরে ঘরে দেখা যায় হাঁস-মুরগি। এবং অনেকেই করছেন বৃহৎ আকারে হাঁস-মুরগির খামারও। আর খামারে লাভবান হওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। সঠিক পরিচর্যা প্রয়োগে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্ষাকালের আগেই প্রাণিসম্পদের যত্ন নিতে রয়েছে প্রস্তুতির প্রয়োজন। আর সেজন্য জানা প্রয়োজন তার সঠিক নিয়ম কানুন।

হাঁস-মুরগির যত্ন যেভাবে নিবেন:

১. বর্ষাকলের আগেই প্রাণিচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিতে হবে।

২. বাজারে রাণীক্ষেতের জন্য নবিলিস এনডি ল্যাসুটা, এনডিএলএস, সিভেক নিউ এল, আইজোভ্যাক এনডি কিল্ড, নিউক্যাভাক, ইমোপেস্ট, নিউক্যাসেল ল্যাসুটা ওষুধ রয়েছে। এছাড়া গামবোরো রোগে নবিলিস ২২৮, সিভেক গামবো এল, আইজোভ্যাক গামবো-২ রয়েছে। আর বসন্ত রোগে সিভেক এফপিএল, নবিলিস, ওভোড্রিপথেরিন পাওয়া যায়।

৩. হাঁস-মুরগির কৃমির জন্য ওষুধ খাওয়ানো, ককসিডিয়া রোগ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জরুরিভাবে অন্যান্য প্রতিষেধক টিকা দিয়ে দিতে হবে।

৪. মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর কাজটি ভরা বর্ষার আগেই সেরে ফেলতে হবে।

৫. গবাদি পশুর গলাফোলা, ডায়রিয়া, ক্ষুরারোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের টিকা দেওয়াসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুর আবাসস্থল পরিপাটি করে পুনসংস্কার, আশপাশ পরিষ্কার করা, জমে থাকা পানির দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা, বর্ষার নিয়মিত এবং পরিমিত গো-খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।