পোল্ট্রি খামারে ধনিয়া পাতা ব্যবহারে যেসব উপকার পাওয়া যায় সেগুলো খামারিদের জেনে রাখা দরকার। মুরগির খামার করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন আমাদের দেশে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পোল্ট্রি খামারে অনেক সময় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে ভেষজ উপায়ে খামারে বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা করা যায়। আজ আমরা জেনে নিব পোল্ট্রি খামারে ধনিয়া পাতা ব্যবহারে উপকারিতা সম্পর্কে-
পোল্ট্রি খামারে ধনিয়া পাতা ব্যবহারে উপকারিতাঃ
পোল্ট্রি খামারে রোগ নিরাময়ে ধনিয়া পাতা ব্যবহারের ফলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
১। পোল্ট্রি খামারের ধনিয়া পাতা ব্যবহারের ফলে খামারের মুরগির হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও পাকস্থলী পরিষ্কার থাকে। এর ফলে খামারের মুরগি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে ও খামারের উৎপাদন বাড়ে।
২। পোল্ট্রি খামারে ধনিয়া পাতা ব্যবহারের ফলে ধনিয়া পাতায় থাকা ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ’ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। যা পোল্ট্রি খামারের জন্য খুবই উপকারি।
৩। ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পোল্ট্রি খামারের জন্য অনেক উপকারী।
৪। ধনিয়া পাতায় রয়েছে ভিটামিন কে যা মুরগী’র জন্য অতীব প্রয়োজনীয়।
৫। ধনিয়া পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা খামারের মুরগির শরীরের গঠনে খুবই প্রয়োজন।
নির্যাস সংগ্রহঃ
২৫০ গ্রাম ধনিয়া পাতা পিষে যে রস বের হবে তা সংগ্রহ করুন বোতলের মধ্যে।মুরগীর খাবার পানিতে ২ মিলি ১ লিটার হিসেবে ধনিয়া রস মিশ্রণ করুন।চিনি যোগ করুন ৪০ গ্রাম প্রতি লিটার হিসেবে।খাবার পানির সাথে ভালো করে মিলিয়ে মুরগীকে পানি দিন।
সতর্কতাঃ
ধনিয়া পাতার এই নির্যাস ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
খামারে মুরগির বাচ্চার বয়স ১০ দিন হওয়ার পরে এটা ব্যবহার করা যাবে।
পোল্ট্রি খামারে পানি সরবরাহ করার পর সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পানি রাখা যাবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩০সেপ্টেম্বর২০