উত্তরবঙ্গে শীত মোটামুটি ভালই পরেছে। শীতকালে প্রধান যে সমস্যায় ডেইরী খামারীরা ভুক্তভোগী তার অন্যতম হলো দুধের প্রডাকশন তুলনামূলক ভাবে কমে যায়। সাধারনত দুধ প্রডাকশন কমার অনেক কারন আছে কিন্তু শীতজনীত কারনে দুধ প্রডাকশন কমার অন্যতম কারনটি নিয়ে আমি কিছু লিখবো আর সেটি হলো তুলনামূলক কম পানি গ্রহন করা।
তাপমাত্রা যখন কমে যায় তখন পানির প্রতি চাহিদা সব প্রানীর তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। গাভীও তার ব্যাতিক্রম নয়!
কিন্তু পানি কম খেলে অবশ্যই সেটি তার দুধ প্রডাকশনে প্রভাব ফেলবে।
পানি কম খাওয়ার কারন-
– সাধারনত খামারীরা চাড়িতে করে পানি খাওয়ায় গাভীকে। শুরুতে পানির তাপমাত্রা মোটামুটি থাকলেও ২০-৩০ মিনিট পর তা অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে প্রথমেও পানি কম গ্রহন করে আর পরে আরও কম গ্রহনে ইচ্ছুক হয়।
করণীয়-
১। ঠান্ডার সময় গাভীর জন্য পানিতে গরম পানি মিশিয়ে গাভীর জন্য সরবরাহ করা।
২। পানিতে চিটাগুড় মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
৩। চাড়িতে দেওয়া পানি ঘন ঘন পরিবর্তন করে দিতে হবে।
ঠান্ডা ও গরমে স্বাভাবিক পানি গ্রহনের পরিমান কমপক্ষে ৩০-৪০ লিটার হেরফের ঘটে যাহা গাভীর দুধ প্রডাকশন ও দুধের ফ্যাটে ইফেক্ট ফেলে।