যে কাজগুলো করলে গরুর খামারের উৎপাদন বাড়ে

316

গাভীর পরিচর্যা নিশ্চিত করাঃ
গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য গাভীর বাছুর প্রসবকালে বাড়তি পরিচর্যা নিতে হবে। এই সময়ে পালন করা গাভীকে নরম বিছানার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এ সময়ে গাভীর যত্নের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে বাছুর ও দুধ উৎপাদন নির্ভর করবে।

সুষম খাদ্যের সরবরাহঃ
গরুর খামারে লাভবান হওয়ার জন্য খাদ্য প্রদানে বিকল্প নেই। খামারের গাভী থেকে বেশি পরিমাণ উৎপাদন পাওয়ার জন্য গাভীকে নিয়মিত সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। এতে গাভী গর্ভবতী থাকাকালীন অপুষ্টিতে ভুগবে না এবং পরবর্তীতে উৎপাদন আরও বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও গাভীর বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও গাভীর বাচ্চা সুস্থ ও সবল থাকবে।

কাঁচা ঘাস সরবরাহ করাঃ
গাভীর দুধ উৎপাদন বাড়াতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস দুধ উৎপাদন বাড়ায়। ঘাসের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতিতে দুধ উৎপাদন বাড়ায়।

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহঃ
প্রত্যেকটি প্রাণীর জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করা অতীব জরুরী। খামারে গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য গরুগুলোকে বিশুদ্ধ পানি পান করানোর কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত গরুগুলোকে বিশুদ্ধ পানি পান করালে গরুর শরীরের পরিপাক তন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হবে।

ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স খাওয়ানোঃ
বাজারে অনেক ধরনের মিক্সড পাউডার পাওয়া যায়। যা গরুর ভিটামিন, মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে দুধ উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এগুলো গরুর খাবারের সাথে সরবরাহ করতে হয়।

নির্দিষ্ট সময়ে দোহন করাঃ
প্রত্যেক দিন একই সময়ে দুধ দোহন করলে এর উৎপাদন ভালো থাকে। গাভীর দেহের হরমোন তখন ভালো কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ে একই ব্যক্তি দ্বারা দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদনের মান ভালো থাকে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ব্যক্তি বা পদ্ধতির পরিবর্তন হলে গাভী অনেকটা বিরক্ত প্রকাশ করে। আর এর ফলে দুধের উৎপাদনও অনেক কমে যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৪ আগস্ট ২০২১