ভ্যাকসিন কার্যকর না হবার কারণঃ
মোদ্দাকথা হলো বাচ্চাদের মায়ের কাছ থেকে পাওয়া এন্টিবডির পরিমাণ নির্ধারণ না করে এবং বাচ্চার সার্বিক শারীরিক অবস্থার না জেনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না।
পরিবেশের ভাইরাসের স্ট্রেনের শহীদ তার বিরুদ্ধে প্রকৃত ভ্যাকসিন ভাইরাসের মিল না থাকলে ভ্যাকসিন কার্যকর হবে না।
পূর্বে থেকেই যদি মোরগ-মুরগি ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ব্যর্থতা সর্বক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলে লাইভ অ্যাকশন এর জীবন ও মারা যাবে এবং মৃত বা জীবিত জীবাণুর এন্টিজেন এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাবে ফলে ভ্যাকসিন কার্যকর হবে না।
খাবার পানিতে ভ্যাকসিন ব্যাবহারের ক্ষেত্রে পানিতে ব্লিচিং পাউডার বা যে কোন রাসায়নিক পদার্থ যেমন জীবাণুনাশক ঔষধ ব্যবহার করা।
নির্ধারিত মাত্রায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করা যেমনঃ ১০০০ মাত্রার ডোজ ১১০০/১২০০মুরগিতে প্রদান করা।
যথাসময়ে ভ্যাকসিন মিশ্রিত পানি শেষ না করা নির্ধারিত সময় সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা তবে গরমকালে ১ ঘন্টা। রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ মুরগির ভ্যাকসিন প্রদান করা যেমনঃ মাইকোপ্লাজমোসিস,কক্সিডিওসিস,মারেক্স,এন্টারাইটিস,কৃমি সংক্রমণ ইত্যাদি।
আবহাওয়াজনিত যেকোনো ধরনের ধকল যেমন অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া।
ভ্যাকসিন করার যন্ত্রপাতি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত না করা।
ভ্যাকসিন করার যন্ত্রপাতি বা পানি বিতরণ ব্যবস্থা রাসায়নিক জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করা।
খাদ্যে মাইক্রোটকজিনের উপস্থিতি। বিভিন্ন প্রকার রোগ দমনে নিম্নমানের ঔষধ ব্যবহার করা।
সঠিক পদ্ধতিতে বা রুটে ভ্যাকসিন প্রয়োগে ব্যর্থতা।
সর্বোপরি মুরগির খাবারে আদর্শ পুষ্টিমানের অভাব শরীরে প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল প্রভৃতির অভাব থাকলে ভালো এন্টিবডি তৈরি হবে না।
এলাকার রোগ-জীবাণুর তীব্রতা অনুযায়ী সঠিক ভ্যাকসিন তালিকা সাজাতে ব্যর্থ হলে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২