রংপুরে ডিজিটাল কীটনাশকের মেশিন তৈরি: কৃষকের শ্রম ও অর্থের সাশ্রয়

1155
?????????????????????????????????????????????????????????

?????????????????????????????????????????????????????????

সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর থেকে: বাংলাদেশে সম্প্রতি ফসলে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সবজি উৎপাদনসহ কৃষি পণ্যের আধিক্য বেড়ে গেছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। এতে করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলছে। এবার রংপুরের একদল শিক্ষার্থী এমন একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন যা কিনা কোনো বিষ প্রয়োগ ছাড়াই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ফসলের মাঠ থেকে ক্ষতিকারক পোকা তাড়াবে। যন্ত্রটি তৈরি করেছেন রংপুরের ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি (আইইটি) কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড মেকানিক্যাল বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের ২৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের আবিষ্কৃত এ যন্ত্র কাজ করবে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। ফলে এতে বার বার বিদ্যুত ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। একবার কিনেই কৃষক একে বিনা খরচে জমিতে ব্যবহার করতে পারবেন বার বার। মূলত এই যন্ত্র কাজ করবে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ তৈরির মাধ্যমে। শব্দ তরঙ্গ বাড়িয়ে কমিয়ে বিভিন্ন পোকা দূর করা সম্ভব এ যন্ত্র দিয়ে। মশা মাছিসহ ফসলের ক্ষেতের সকল প্রকার পোকামাকড় এ যন্ত্রের সৃষ্ট শব্দে পালিয়ে যায় ওই এলাকা থেকে। যন্ত্রটি আবিস্কারের পেছনে কাজ করা শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল উদ্যোক্তা আইটির ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র জিয়াউদ্দিন পাইলট বলেন, আমাদের তৈরি এই যন্ত্র দিয়ে ধান ক্ষেতের যে অংশে এটি স্থাপন করা হবে এর আশে পাশে থেকে সকল ধরনের পোকামাকড় দূরে পালিয়ে যাবে। তবে প্রয়োজনমতো এতে ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক করে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এটি চালু করার পর এক ধরনের অডিও সিগন্যাল ও আলট্রাসাউন্ডের ভয়ে পোকামাকড় পালিয়ে যায়। এটি দূষণমুক্ত শব্দ যা শুধু পোকামাকড় বুঝতে পারে কিন্তু মানুষ শুনতে পায় না। তিন ফুট উচ্চতায় যন্ত্রটি চার পাশে বিভিন্ন স্পিকার লাগানো আছে যা থেকে শব্দ তরঙ্গ নিগর্ত হয়। যন্ত্রটি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল মেলায় প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে। জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে যন্ত্রটি চালানো হয় একটি ধান ক্ষেতে। যন্ত্রটি চালালে প্রথমে হালকা একটি শব্দ হয় এবং পরে আর কোনো শব্দ শুনা যায় না। সম্পূর্ণ যন্ত্রটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে মাত্র এক হাজার ৩ শ’ ৭৫ টাকা। এটি একটানা বেশ কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। রংপুরের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরিকৃত এই ডিজিটাল কীটনাশক মেশিন নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের কৃষি ক্ষেত্রে কীটনাশকমুক্ত ফসল উৎপাদন এবং কৃষকের অর্থ সাশ্রয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। গ্রাহক পাবে বিষমুক্ত কৃষি পণ্য।