দেশের কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত হলেও কোন প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারের কেনা-বেচায়। কোরবানির তৃতীয় দিনেও চামড়া বিক্রি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা অনেকটাই হতাশ।
সরকারি সিদ্ধান্তটি আরো আগেই ঘোষণা করা হলে ব্যবসায়ীদের এমন দুর্দশা থাকতো না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা কোরবানির চামড়া নিয়ে অপেক্ষায় ময়মনসিংহের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দেখা মিলছে না বড় ব্যবসায়ী কিংবা ট্যানারি মালিকের। তারা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত কোন প্রভাব ফেলেনি তাদের ভাগ্যে।
বুধবার রাজশাহীতে ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করে সর্বোচ্চ ২’শ থেকে আড়াইশো টাকা পায়। আর খাসির চামড়া বিক্রি করে প্রতি পিস মাত্র ১০ টাকায়। এতে অনেকটাই হতাশ আর ক্ষুব্ধ তারা। অভিযোগ, সব ব্যবসায়ীর চামড়া রপ্তানি করার সুযোগ না থাকায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়াতে টাকার অভাবে চামড়া কিনতে পারছেন না ব্যাপারীরা। তাদের দাবি, ট্যানারি মালিকদের কাছে ১৫ কোটি টাকা পাওনা থাকায় নতুন করে চামড়া কেনার সামর্থ্য নেই তাদের।
দিনাজপুরে চামড়ার দরপতনে সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীরা। সাত থেকে দশদিন আগে সরকারি ঘোষণা হলে কিছুটা হলেও উপকারে আসতো বলে মত তাদের।
এছাড়া বগুড়া ও নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের পরও উঠেনি দর। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাথায় হাত মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/জাকির