রাঙ্গামাটিতে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ফসল উৎপাদনে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে প্রায়োগিক গবেষণা ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

341

প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, রাঙ্গামাটি থেকে: পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প’র যৌথ আয়োজনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ফসল উৎপাদনে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে প্রায়োগিক গবেষণা ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা ২৩ মে রাঙ্গামাটি শহরের আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক সুকৃতি রঞ্জন চাকমা, এনডিসি’র সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ প্রনব ভট্টাচার্য্য, ডিএই উপপরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র খাগড়াছড়ির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সি রাশিদ আহমদ। কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষক, কৃষি গবেষক, সম্প্রসারণ কর্মি ও এনজিও প্রতিতিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্প সমন্বয়ক দয়াল কুমার চাকমা প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমের সফলতা এবং প্রতিবন্ধকতাসমূহ উপস্থাপন করেন।

প্রকল্পের এ্যাকশন রিসার্স প্রোগ্রামের প্রধান গবেষক এবং পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন প্রকল্পে আওতায় বাস্তবায়নাধীন পাহাড়ী এলাকার উপযোগি চলমান গবেষনা কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা উপস্থাপন করেন।

কারিগরী অধিবেশনে গাজীপুরস্থ মশলা গবেষণা কেন্দ্র’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, পার্বত্য এলাকার সম্ভাবনাময় ফসল বিলাতি ধনিয়া, আলুবুখারা, তেজপাতা ও দারুচিনির চাষাবাদ প্রযুক্তির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, পাহাড়ী এলাকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রমাণিত প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে কার্যকরভাবে বিস্তারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি পাহাড়ী এলাকার কৃষির বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং কৃষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, গবেষণাগারে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ না রেখে দ্রুত কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি নতুন কোনো ফসল বা প্রযুক্তি এ এলাকায় প্রবর্তনের ক্ষেত্রে এলাকার বিদ্যমান প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কর্মশালার শেষে উপপ্রকল্প পরিচালক অবিরত চাকমা ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এন