রাঙ্গামাটি সদরে লেবু জাতীয় ফসলের মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

409
SAMSUNG CAMERA PICTURES

[su_slider source=”media: 4247,4246″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, রাঙ্গামাটি থেকে: সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’র আয়োজনে লেবু জাতীয় ফসলের এক মাঠদিবস গত ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি সদরের কুতুবছড়ি নিচু পাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট অফিসার কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিকের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপপরিচালক কৃষিবিদ রমনী কান্তি চাকমা, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুধেন্দু শেখর মালাকার, ডিএই রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আপ্রু মার্মা।

স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ আপ্রু মার্মা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় লেবু জাতীয় ফসলের আবাদের সম্ভাবনার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং তিনি বলেন, এ উপজেলায় লেবু জাতীয় ফলের বিশেষকরে মাল্টার বাণিজ্যিক বাগান স্থাপনের জন্য প্রচুর উপযুক্ত পাহাড় থাকায় কৃষকদের বাগান স্থাপনে বিভিন্ন সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে লেবু বাগান প্রদর্শনী কৃষক মেঘনাদ চাকমা তার অভিজ্ঞতা ও সফলতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এছাড়া বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে লেবু জাতীয় ফলের চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিচর্যা, বালাই ব্যবস্থাপনা এসব বিষয়ে উপস্থিত কৃষকদের ধারণা দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ গতানুগতিক কৃষিকাজ থেকে বেরিয়ে এসে সম্ভাবনাময় নতুন নতুন ফসল চাষে কৃষকদের আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের মোট আয়তনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে পার্বত্য এলাকা। এ অঞ্চলে মাঠ ফসল চাষে উপযুক্ত জমির সল্পতা থাকায় বহুবর্ষজীবি ফল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করা ছাড়া ফসলের নিবিড়তা বাড়ানোর ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি লেবু জাতীয় ফলের পুষ্টি গুণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রদর্শনী কৃষক মেঘনাদ চাকমার মতো অন্যদেরও এগিয়ে আসার তাগিদ দেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন এবং প্রদর্শনী বাস্তবায়নের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি বলেন, লেবু জাতীয় ফলের ৪০ শতক আয়তনের এক একটি ব্লক প্রদর্শনীতে মাল্টার ৬০টি, কমলার ১০টি, বাতাবী লেবুর ১০টি এবং জারা লেবুর ২০টি করে উন্নত জাতের চারা কলম এবং পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ফসল বিধায় মাঠকর্মিদের পরামর্শমতো সকল পরিচর্যা সম্পাদনের জন্য তিনি উপস্থিত কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। মাঠদিবসে প্রায় শতাধিক স্থানীয় কৃষক কৃষাণী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।