রাজধানীতে কমতে শুরু করছে সবজির দাম

546

সবজির বাজার

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে দাম কমছিল না সবজির। নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছিল। তবে এবার ব্যতিক্রম দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন সবজি-বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। তবে আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের মাছ। অপরিবর্তিত আছে মাংস, ডিম, ডাল, চাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের দর।

শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার ও ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমে কেজিপ্রতি শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম (সাদা) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর (ফ্রেশ) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর (রেগুলার) ৪০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো (কাঁচা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

অন্যদিকে বাজারে আলুর দর কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়লেও বর্তমানে তা কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এসব বাজারে নতুন আলু কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পুরান আলু ২৩ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি পুরান আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, নতুন আলু (আকারভেদে) ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ক্ষিরা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, জালিকুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। দাম কমেছে শাকের বাজারে। এসব বাজারে আঁটিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা কমে প্রতি আঁটি (মোড়া) কচুশাক ৫ থেকে ৭ টাকা, লাল শাক ৮ থেকে ১০ টাকা, মুলাশাক ১০ থেকে ১২ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পুঁই শাক ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজি ও শাকের বাজারে দাম কমলেও আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। এসব বাজারে প্রতি কেজি (এক কেজি আকারের) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অপরিবর্তিত আছে মুরগি ও মাংসের বাজার।