রুই মাছের সাদা দাগ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

626

মাছ চাষ করেই অনেকে সাবলম্বী হয়েছে। তবে মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের বিভিন্ন অনেক রোগ দেখা দেয়। তার মধ্যে সাদা রোগ মাছের মারাত্নক ক্ষতি করে। আর এই রোগ রুই মাছ প্রজাতির মধ্যে বেশি দেখা দেয়।

রুই মাছের আকৃতি:
রুই মাছের দেহ অনেকটা মাকু আকৃতির। মাথা ও লেজ ক্রমশ সরু। প্রস্থ থেকে উচ্চতা বেশি। চলনের সময় জলের ভেতর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় না বলে এ ধরনের আকৃতিকে “স্ট্রিমলাইনড” বলে। শরীরের দুপাশ সমানভাবে চ্যাপ্টা এবং সারা শরীর রূপালী আঁশ দিয়ে আবৃত থাকে। আঁশগুলো মসৃণ ও সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো থাকে।

ধুসর বর্ণের পাখনার এই মাছের পৃষ্ঠদেশের আঁশের কেন্দ্র লালাভ এবং প্রান্ত কালো বর্ণের হয়ে থাকে। আঁশের কেন্দ্রের এই লালাভ বর্ণ প্রজনন ঋতুতে আরও গাঢ় ও উজ্জ্বল হয়। রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

রোগের নাম: সাদা দাগ রোগ
রোগের লক্ষণ:
১.মাছের পাখনা, কানকো ও দেহের উপর সাদা দাগ দেখা দেয়।
২.মাছের ক্ষুধা মন্দা এবং দেহের স্বাভাবিক পিচ্ছিলতা লোপ পেয়ে খসখসে হয়ে যায়।
৩.ইকথায়োপথেরিয়াস প্রজাতি এ রোগের কারণ।

চিকিৎসা:
ক. মাছের সংখ্যা কমিয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা। জীবানু মুক্ত পানিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে মাছ স্বাভাবিকভাবেই আরোগ্য লাভ করে। বিশেষ কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।

প্রতিকার:
১.শামুক জাতীয় প্রাণি পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলা।
২.শতকরা ২.৫ ভাগ লবণ পানিতে ৫-৭ মিনিট গোসল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে পোনা মজুদ করা।
৩.রোদে শুকনা জাল পুকুরে ব্যবহার করা।
৪.স্বাভাবিক সংখ্যা বজায় রেখে অতিরিক্ত মাছ সরিয়ে নেয়া।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২২ জুন ২০২১