লক্ষ্মীপুরে সম্ভাবনাময় সয়াবিন আবাদ বাড়ছে

345

2018-02-05_4_912250

লক্ষ্মীপুর: দেশের মোট উৎপাদনের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সয়াবিন হয় লক্ষ্মীপুরে। যার জন্য এ জেলাকে সয়াল্যান্ড বলা হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার এ বছর ৫০ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় সয়াবিন চাষ করেই স্বাবলম্বী হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। এমন বাম্পার ফলনের জন্য সয়াবিনের রাজধানী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছে জেলাটি।

গত বছর কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাপক ফসল নষ্ট ও কৃষকদের পুঁজির অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে সয়াবিন উৎপাদন। এতে একদিকে হতাশ কৃষকরা। অন্যদিকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এবার সয়াবিন আবাদ নিয়ে হতাশ রয়েছেন কৃষকরা।
লক্ষ্মীপুর কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে, গত বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫০ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। ফসল কেটে ঘরে তোলার মাত্র কয়েকদিন আগে ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত। এতে নষ্ট হয় কাঙ্খিত উৎপাদন।

কৃষি অফিসের জরিপে দেখা গেছে , ওই দুর্যোগে স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরপর থেকে কৃষকদের পূঁজির ওপর প্রভাব পড়ে।

১৬ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রবি মৌসুম। এ মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা সয়াবিনের চাষ হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি অসময়ের তুমুল বৃষ্টিতে রবি ফসলের জমি পানিতে ডুবে যায়। এখনও জমিতে মাটি গুলো পরিপুর্ণভাবে ঝুরঝুরে হয়নি। এ সময় সয়াবিন চাষ করলে ফসল ঘরে তোলার আগে বর্ষায় বৃষ্টির মুখে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, গত বছরের ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে অর্থসংকটে আছি। তাছাড়া মৌসুমের প্রায় শেষ পর্যায়। এখনো জমি পরিপূর্ণ হয়নি।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খান বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। যে কারণে সময় মতো জমিতে চাষ দিতে পারেনি কৃষকরা। সয়াবিনের বীজ রোপণে দেরি হলে কালবৈশাখীর প্রভাবে বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে। গত বছরেও বৃষ্টিতে সয়াবিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/