লবণাক্ত মাটিতে পটল আবাদ করে সফল খুলনার কৃষক

359

পটল-০১

লবণাক্ত মাটিতে পটলের আবাদে সফলতা পেতে শুরু করেছেন উপকূলীয় এলাকা খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কৃষকরা।এছাড়া, উপজেলার গদাইপুর, হরিঢালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ হয়। অন্যান্য ইউনিয়নগুলো নিচু হওয়ায় শাক-সবজির চাষ তেমন একটা হয় না বললেই চলে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। গদাইপুর, হরিঢালী ও কপিলমুনি ইউনিয়নে পটলের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের সব জায়গায় পটলের চাষ হয় না। বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর জেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পটলের চাষ হয়। বর্তমানে খুলনা ও সাতক্ষীরায় পটলের চাষ হচ্ছে।

গদাইপুর ইউনিয়নের সবজি চাষি নির্মল ঘোষ তার ৫ কাঠা জমিতে পটলের আবাদ করে সফল হয়েছে। তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে পটল খেতের জন্য দেড় ফুট উঁচু করে মাচা তৈরি করেছে। এতে পটল গাছও ভালো থাকে এবং প্রতিটা ডোগায় ডোগায় পটল ধরে। প্রতি সপ্তাহে তিনি খেত থেকে প্রায় ৫০ কেজি পটল উৎপাদন করছেন।

উৎপাদিত পটল বাজারে বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন। তার পটল চাষ দেখে এলাকার অনেক কৃষক পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

পটল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। সারাবছর পটলের চাষ হয়। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে যখন সবজির অভাব দেখা দেয় তখন পটল একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসেবে কাজ করে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন দো-আশঁ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে পটলের চাষ ভালো হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অথবা অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পটল রোপনের উপযুক্ত সময়।

ফামর্সএন্ডফার্মার২৪/জাকির