শীতকালীন সবজি লাউয়ের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত চমকপ্রদ আর খেতেও সুস্বাদু। প্রকৃতিতে শীতকাল আসতে ঢের দেরী হলেও আগাম সবজি লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের লাউ চাষি আতিকুর রহমান রনি।
নাটোরের মাটির গুণাগুণ কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত ভালো। এই জেলার মাটিতে সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এবছর চাষি রনি তার ১ বিঘা ৫ কাটা জমিতে লাউ চাষ করেন। মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।
রনি বলেন, তিনি লাউ চাষে সার , বীজ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ সহ মোট ৩২ হাজার টাকা খরচ করেন। আগাম সবজি হিসাবে লাউয়ের কদর থাকায় বর্তমান বাজারে তিনি ভালোই দাম পাচ্ছেন। তিনি প্রতি পিস লাউ আকারভেদে পাইকারী ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলা সদরে ও লাউ বিক্রি করছেন। প্রতি সপ্তাহেই তিনি তার চাষক্ৎ লাউ ক্ষেত থেকে প্রায় ৪৫০-৫০০ পিস লাউ সংগ্রহ করেন । তিনি আশা করছেন আরো ৫০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করবেন।
তিনি আরো বলেন, এইচএসসি পাশ করার পর যখন তার কোথাও কোন চাকরী হচ্ছিলো না তখন তিনি লাউ চাষ করার মনস্থির করেন। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে তিনি লাউ চাষ শুরু করেন । প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে রনি আজ স্বাবলম্বী এবং একজন সফল চাষি হিসাবে অন্য চাষিদের অনুপ্রেরণার কারণ হয়েছেন।
চাষি রনির দেখাদেখি গ্রামের শিক্ষিত বেকার তরুণরা লাউ চাষ সহ অন্যান্য চাষবাসে আগ্রহ পাচ্ছেন। নতার দেখাদেখি অনেকেই লাউ চাষ আরম্ভ করেছেন। শিক্ষিত বেকার তরুণরা যদি বেকার না থেকে নিজ উদ্যোগে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ