লাভজনক মাছ চাষের জন্য মানসম্মত খাবার অন্যতম প্রধান শর্ত। কেননা মাছ চাষে ৭০% এর বেশি খরচ হয় খাদ্য সরবরাহে। বাজারের খাদ্য এবং নিজে খাদ্য তৈরি করে সরবরাহ করেন। সঠিক পুষ্টিমান সম্পন্ন এবং মাছের আকার ও বয়স উপযোগী খাবার সরবরাহ না করলে লাভ হবে না। তাই জেনে নিন কোন জাতের মাছের কতটুকু খাদ্য চাহিদা, কতটুকু সরবরাহ করবেন।
কোন জাতের মাছের কতটুকু খাদ্য চাহিদা সেটি জানার আগে জানতে হবে মাছের সম্পুরক খাদ্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা। সাধারণত এতে ১. অধিক ঘনত্বে পোনা বা বড় মাছ চাষ করা যায়। ২. অল্প সময়ে মাছের সুস্থ ও সবল পোনা উৎপাদন করা যায়। ৩. মাছের দৈনিক দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়। ৪. মাছ বা চিংড়ির পোনার বাঁচার হার বৃদ্ধি পায়। ৫. মাছের পুষ্টির অভাবজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকে। ৬. মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু বাংলাদেশের অনেক চাষি নিম্নমানের খাবার কিনে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাছাড়া পরীক্ষাগারে খাদ্য পরীক্ষা করালে খাদ্যের পুষ্টিমান সম্পর্কে জানা যায়। কম খাবার সরবরাহ করলে যেমন মাছের প্রত্যাশিত উৎপাদন পাওয়া যায় না তেমনি বেশি পরিমাণে খাবার সরবরাহে লোকশান হয়।
এতে খাবার ও অর্থ দুই-ই অপচয় হয় এবং পানি দূষণের জন্য মাছ মারা যায়। সাধারণত মাছের পোনার সংখ্যা অজানা থাকায় খাদ্য প্রয়োগের হিসাবে গড়মিল থাকায় সঠিকমাত্রায় খাবার সরবরাহ করতে পারেন না। এজন্য মাছের সংখ্যা এবং গড় ওজন জেনে পানির গুণাগুণের দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাবার সরবরাহ করা দরকার। অনেকে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করার পরিবর্তে মাঝে মাঝে ও অনিয়মিতভাবে খাবার সরবরাহ করেন।
এভাবে খাবার সরবরাহ করলে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা সম্ভব নয়। অর্থাভাবে চাষের মাঝামাঝি সময়ে খাবার সরবরাহে ব্যর্থ হলে চাষি লাভবান হতে পারে না। মাছ চাষে পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে জৈব ও অজৈব সারের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। অনেক চাষি কেবল সার প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ চাষ করতে চান।
এ ধারণা থেকে অতিরিক্ত সার প্রয়োগে বিপদ ডেকে আনেন। পানিতে প্লাংক্টন বুম বেশি হয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে এক পর্যায়ে পানি নষ্ট হয়ে যায় এবং পুকুরে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যায়। সুতরাং প্রয়োজন হলেই সার দেয়া উচিত না হলে দরকার নেই। মাছের সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা একান্ত জরুরি।
জেনে নিন কোন জাতের মাছের খাদ্য চাহিদা কতটুকু শিরোনামে সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরথেকে নেওয়া হয়েছে।