লাভ হওয়ায় দিনাজপুরে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

350

ড্রাগন

দিনাজপুর প্রতিনিধি : চাষ উপযোগী মাটি ও লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ড্রাগন চাষে আগ্রহী অনেক চাষি। আর তারা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে বলে জানান ড্রাগন চাষিরা। এককালীন বিনিয়োগ করে দুই যুগ ধরে আয়ের উৎস গড়া যায় এই ড্রাগনের বাগান থেকে। এ ছাড়াও ড্রাগন চাষের বাগানে অন্য যে কোনো সবজিও চাষ করা যায়।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগনের ঠিকমতো পরিচর্যা করলে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের একটি গাছে ৫ থেকে ২০টি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে ২৫ থেকে ১০০টি ফল পাওয়া যায়। এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফল বেশি হতে দেখা যায়। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগনের ৫টি জাত রয়েছে। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। ড্রাগন ফলের পিঁপড়া ছাড়া তেমন কোনো পোকামাকড়ে সমস্যা নেই।

এ এলাকায় ড্রাগন ফলের পরিচিতি কম থাকলেও এটা লাভজনক হওয়ায় আগ্রহী হয়ে চাষ করছেন দিনাজপুরের শেখপুরা ইউপির রাজারামপুর গ্রামের জায়িম উদ্দিনের ছেলে আয়েতুল্লা খোমেনি। ড্রাগন ফল সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। প্রতি কেজি ৫০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। ৬০০ জমিতে ড্রাগন চাষ করে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

কৃষক আয়েতুল্লা খোমেনি জানান, হর্টিকালচার থেকে প্রাপ্ত ২০১৪ সালে ৬ শতক জমিতে ড্রাগন গাছের ৮০টি চারা লাগাই। পরের বছর থেকে ফল ধরে। গত মাসে ১৭ কেজি ফল বিক্রি করেছি। জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে সমান করে ৩ মিটার পর পর সারি করে চারা লাগালে ভালো। রোপণের মাস-খানেক আগে গর্ত তৈরি করে তাতে সার মাটি দিয়ে ভরে রেখে দিতে হয়। এতে বছরের যে কোনো সময় চারা লাগানো যেতে পারে। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাগালে ভালো। প্রতি গর্তে দুটি থেকে পাঁচটি চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর পর খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে ড্রাগন ফল গাছ বেঁধে দিতে হবে। ড্রাগন ফল প্রচুর আলো পছন্দ করে। পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। শুষ্ক মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ফল তোলা শেষে প্রতিটি গাছের ৪০ থেকে ৫০টি শাখার প্রত্যেকটিতে ১ থেকে ২টি প্রশাখা রেখে বাকিগুলো ছেঁটে দেওয়ার পর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। সূত্র : বিপি

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন