রোগের কারণঃ লেবুর ক্যাংকার রোগ Xanthomonas axonopodis নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়। এটি গাছের প্রায় সব অংশে আক্রমণ করে। পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এছাড়াও বাতাস, পানি মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
লক্ষণঃ ক্যাংকার রোগের ফলে গাছের পাতা, ফল, ডগায় ছোট ছোট হলুদ দাগ পড়ে। পরে এই দাগ একত্রিত হয়ে পুরু ও বড় হয়ে যায়। দাগের চারদিকে ফোস্কার মতো হলুদ আভা থাকে যা ফলে ও পাতায় বেশি দেখা যায়। দেখতে দাদ রোগের মত কিছুটা। আক্রমণ তীব্র হলে গাছ মরে যায়।
ব্যবস্থাপনাঃ
# আকান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করা ধ্বংস করা।
# গাছের পাতা শুকনো থাকা আবস্থায় বাগানের পরিচর্যা করা।
# লেবুর পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকার আক্রমন প্রতিহতের জন্য ব্যবস্থা নেয়া যেমন:* শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয় ।
# পাতা সুড়ঙ্গ পোকা দমনে জৈব বালাইনাশক এজাডিরেকটিন গ্রুপের কীটনাশক যেমন-নিমবিসিডিন (২ মিলি/লিটার)/ফাইটোম্যাক্স (২ মিলি/লিটার) অথবা বায়োনিম বা বায়োনিম প্লাস (৩ মিলি/লিটার) স্প্রে করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলি নিম খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছের পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায়।
# ১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজী নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয় ।
# তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।
# আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা ফেনথোয়েট ৫০ ইসি ২ মিলিলিটার হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । ক্লোরোপাইরিফস বা সাইপারমেথ্রিন বা ডাইমেথয়েট বা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
# কপার অক্সিক্লোরাইড বা কপার প্রতি ১০ লি. পানিতে ৫ গ্রাম. মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৭সেপ্টেম্বর ২০২১