লেবুর ক্যাংকার রোগ

1099

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লেবু একটি অত্যাবশ্যকীয় ফল। যা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। এমনকি শরবত তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই আসুন জেনে নেই লেবু কোন রোগে আক্রান্ত হয় এবং এর প্রতিকার কী?

ক্যাংকার রোগ কীঃ

লেবুর সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং মারাত্মক একটি রোগের নাম হল ক্যাংকার রোগ। এটি একটি ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগ। এ রোগের জীবণু মাটিতে ৮-১০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আলো বা রোদে তা দ্রুত ধ্বংস হয়। গাছের মাটির নিচের অংশ ছাড়া বাকি সব অংশে এ রোগ আক্রমণ করে। সাধারণত গাছের ক্ষত অংশ এবং পত্ররন্ধ্র দ্বারা জীবাণু গাছের ভেতর প্রবেশ করে। এজন্য বর্ষাকালে অধিক বাতাসে গাছের ক্ষতের সৃষ্টি হলে জীবাণু দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

লক্ষণঃ

ক্যাংকার রোগের আক্রমণের ফলে গাছের শাখা-প্রশাখা, ফল, পাতা, ফলের বোঁটা, ডগা প্রভৃতি আক্রান্ত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে ছোট ছোট হলুদ দাগ পড়ে। পরবর্তীতে এই দাগ একত্রিত হয়ে পুরু ও বড় হয়। ফোস্কার মত এসব দাগের চারিদিকে হলুদ আভা থাকে। হলুদ আভা গাছের পাতায়ই বেশি দেখা যায়। কখনো কখনো ফলের খোসায় ফাটল দেখা যায়। গাছের উপরের দিকের পাতা ঝরে যায়। আক্রমণ তীব্র হলে গাছ মরে যায়।

প্রতিকারঃ

আকান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করা ধ্বংস করা।

গাছের পাতা শুকনো থাকা আবস্থায় বাগানের পরিচর্যা করা।

লেবুর পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকার আক্রমন প্রতিহতের জন্য ব্যবস্থা নেয়া যেমন: শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয় ।

সুস্থ-সবল মাতৃগাছ থেকে লেবুর রোগমুক্ত চারা সংগ্রহ করতে হবে। ওই চারা জমিতে রোপণ করতে হবে। পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনের জন্য প্রতিনিয়ত লেবুর ক্ষেত পরিদর্শন করতে হবে। পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমনের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

বর্ষা মৌসুমের আগেই লেবু গাছের ডাল ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ছাঁটাইয়ের পর সঠিক মাত্রায় বোর্দোমিক্সার প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাংকার রোগে আক্রান্ত মরা গাছ তুলে দ্রুত তা সমূলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

ব্যবস্থাপনা :

সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ( যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার ) অথবা ক্লোরপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক ( ্রিজেন্ট ১০-১৫মিলিলিটার) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার।

কপার অক্সিক্লোরাইড বা কপার প্রতি ১০ লি. পানিতে ৫ গ্রাম. মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করা। কীটনাষক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/৩০সেপ্টেম্বর২০