পোকা চেনার উপায় : মথ বা পূর্ণাঙ্গ পোকা মেটে থেকে কালচে রঙের। মাঝে হলদে ছোপ ছোপ পাখার পেছনের দিক সামান্য উঁচু।৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে হলদে রঙের ২-৩ মিমি (০.০৭- ০.১১ ইঞ্চি) আকারের কীড়া পাতার ভিতরে আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে চলে।
ক্ষতির ধরণ : এ পোকার কীট পাতার উপ ত্বকের নীচে আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে সবুজ অংশ কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলে। দাগ শেষে বাদামি হয়ে শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায়। তীব্র আক্রমণে গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কমে যায়।
ব্যবস্থাপনা :
আক্রন্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলুন।
আক্রমণ বেশি হলে ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার) অথবা ক্লোরপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক (রিজেন্ট ১০-১৫মিলিলিটার) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পূর্ব-প্রস্তুতি :
নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিন ।
অন্যান্য :
প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের রস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভাল ভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন।১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজী নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করুন।তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয় ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২১জুন২০