লেয়ার মুরগির একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড-লিনোলেইক এসিড, মুরগির ডিম উৎপাদন ও ডিমের আকার বৃদ্ধিতে অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যে এই এসিড অপর্যাপ্ত হলে প্রথমেই ডিমের আকার ছোট হয়ে যায়। সেলুলার মেমব্রেনের ইন্টিগ্রেটি কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রজনন ক্ষমতা ও বাচ্চার গ্রোথ কমে যায়। তাই লেয়ার মুরগির জন্য দৈনিক প্রতি ১০০ গ্রাম ফিডে ১.০ গ্রাম লিনোলেইক এসিড গ্রহণকে অত্যাবশ্যকীয় বলেছেন। কোন কোন গবেষণায় পাওয়া যায় তেলের লিনোলেইক এসিড লিনোলেনিক এসিডের সাথে যুক্ত হয়ে লেয়ার মুরগিতে ইকোসানয়েড তৈরিতে প্রোস্টাগান্ডিনকে প্রভাবিত করে। ফলে মুরগির রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এক গবেষণায় প্রকাশ করেন যে, লিনোলেইক এবং লিনোলেনিক এসিড থেকে উৎপন্ন ইকোসানয়েডস , এমব্রায়োনিক , ডেভেলপমেন্ট, রোগ-প্রতিরোধ বৃদ্ধি ও মুরগীর হাড় গঠনে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি এসিড যেহেতু ফ্যাট/তেলে থাকে তাই তেলের ব্যবহার বিষয়ে সাবধানতা নিতে হয় । কেননা আতিরিক্ত তেল/ফ্যাট গ্রহণে লেয়ার মুরগির মেটাবলিক disorders দেখা দেয়। তার মধ্যে fatty liver syndrome, erratic ovulation and defective egg syndrome (EOES- mostly in broiler breeder) উল্লেখযোগ্য।
খাদ্যে শক্তি বা তেলের পরিমাণ যদি অতিরিক্ত হয় কিংবা এমাইনো এসিড ও শক্তির অনুপাত যদি সুষম না হয় (improperly balabced ratio) তবে fatty liver syndrome হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ lipoprotein metabolism বিঘ্ন ঘটে। যার কারণে অতিরিক্ত ফ্যাট লিভারে জমা হয়। আরো বেশ কিছু কারণে fatty liver syndrome বেড়ে যায়। যেমন – মাইকোটক্সিনের প্রাদুর্ভাব বা বিশেষ পুষ্টিমাত্রার অভাবে (কোলিন) এ লক্ষণ আরো তীব্রতা পায়। খাদ্যে তেলের পরিমাণ বেড়ে গেলে অনেক সময় মুরগিকে দুই বা অধিক কুসুমের ডিম পাড়তে ও দেখা যায়। যার ফলে মুরগি পরববর্তীতে অনিয়মিত ডিম দেয় এবং পুলেটের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা যায়। ‘কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মালেক’