আমাদের দেশে মুরগি উৎপাদনে বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে শুধু মাংসের জন্য করলেও শুধু ডিমের জন্যও অনেকে লেয়ার মুরগির খামার করতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে শুরু করবে বুঝতে পারেন না। তাই আজ ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকমের পাঠকদের জন্য থাকছে এ আয়োজন।
লেয়ার মুরগির খামার ব্যবসা কেন করবেন?
লেয়ার মুরগির ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা যা আমাদের দেশে অনেক বছর ধরে চালু আছে। এই ব্যবসা শুরু করার অন্যতম কারণ হল, আপনি পার্ট টাইম ব্যবসা হিসাবে নিতে পারেন। দ্বিতীয় কারণ, আপনি আপনার পরিবার ও সমাজের জন্য ডিমের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। তৃতীয় কারণ, কর্মস্থান এর ব্যবস্থা করতে পারবেন। তাছাড়া ঘরে বসে এই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব তবে দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে। শুরুতে নিজে নিজে কাজ করুন, ব্যবসা বাড়ার সাথে সাথে লোক নিয়োগ দিন।
যেভাবে শুরু করতে পারেন:
লেয়ার মুরগির পালনের মূল উদ্দেশ্য ডিম উৎপাদন করা। একদিন বাচ্চা কিনে আপনাকে ১৮ সপ্তাহ পর্যন্ত পালতে হবে। ১৯ সপ্তাহ থেকে ডিম দেওয়া শুরু করবে যা প্রায় ৭৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। সে ক্ষেতে ভাল জাতের মুরগি নির্বাচন করতে হবে। ডিমের রঙ ও ধরনের উপর ভিত্তি করে লেয়ার মুগরি দুই ধরনের।
১. সাদা ডিম উৎপাদনকারী মুরগি-লোহম্যান হোয়াইট, শেভার হোয়াইট, ইসা হোয়াইট ইতাদি মুরগি।
২. বাদামী ডিম উৎপাদনকারী মুরগি–ইসা ব্রাউন, শেভার ৫৭৯, লোহম্যান ব্রাউন ইত্যাদি।
তবে ভালো জাতের মুরগি দিয়ে খামার করলে লাভ বেশি করা যায়।
ডিমের বাজারজাতকরণ:
বাজারজার করা এই ব্যবসার জন্য সব থেকে সহজ একটি কাজ। পাইকারা আপনার খামারে এসে ডিম সংগ্রহ করবে। বেশি মুনাফা অর্জন করতে হলে নিজে লোক নিয়োগ নিয়ে দোকানে দোকানে ডিম পৌঁছে দিতে পারেন।
বিশেষ যোগ্যতার দরকার নেই:
তেমন কোন বিশেষ যোগ্যতার দরকার হয় না। যারা আগে বা এখন লেয়ার মুরগির খামার করছে তাদের সাথে কথা বলে অভিজ্ঞতা জেনে নিন। তবে অনেকেই আপনাকে বলবে এই ব্যবসায় লাভ নাই, কেন নাই তার কোন সঠিক উত্তর তাদের জানা নাই। তবে নিজে বুজে শুনে লেয়ার মুরগির খামার করতে পারলে কোন সম্যাসা হবার কথা নয়।
লেয়ার মুরগির খামার ব্যবসায় কোন বিশেষ সুবিধা আছে?
# অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়।
# পার্ট টাইম বিজনেস হিসাবে লেয়ার মুরগির খামার করা যায়।
# ঘরের যে কোন সদস্য দেখাশুনা করতে পারে।
# সঠিক ভাবে পরিচালনা করলে অনেক দিন পর্যন্ত এই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়।
এ ব্যবসার ঝুঁকিসমূহ:
সব ব্যবসার মতো লেয়ার মুরগির ব্যবসায় ঝুঁকি আছে। সঠিক সময়ে ভেকসিন দিলে অনেকটা ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। মুরগির রোগ ছাড়া আর কোন বিশেষ ঝুঁকি নেই।
সফলতার চাবিকাঠি:
লাভ প্রথম ১ বছরে করাটা অনেক কঠিন কাজ। লেগে থাকতে হবে, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারলে পরের বছর থেকে বহু লাভ করা সম্ভব।
লাভের পরিমাণ:
লেয়ার মুরগি পালন করে শতকরা ২০% লাভ করা সম্ভব। তবে নিজে নিজে সঠিক মান ঠিক রেখে খাবার বানাতে পারলে লাভের পরিমাণ ৩০% পর্যন্ত করা সম্ভব। সূত্র: নেট ও অন্যান্য।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন