নাহিদ হোসেন, নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরের বড়াইগ্রামে পেয়ারা বাগান করে সাফল্যের নজির গড়েছেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জিব রোজারিও। ৩ বিঘা জমিতে পেয়ারা বাগান করার ১০ মাস পর থেকেই পেতে করেছেন ফলন। বাজারদরও পাচ্ছেন ভালো।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তিন বিঘা জমিতে দেড় হাজার থাই-থ্রি জাতের পেয়ারার চারা লাগান জোনাইলের ইলেক্ট্রিশিয়ান সঞ্জিব। সাত মাস পর ফুল ও ফল ধরা শুরু করে। এ বছর জুন মাস থেকে শুরু হয় পেয়ারা বাজারজাতকরণ। বাগান করতে এবং কাজের লোক দিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন তিনি।
সঞ্জিব রোজারিও বলেন, বাজারে বিক্রি করা দেখে আমার ভেতরে একটা আগ্রহ আসে যে এটা কি। পরে খোঁজে খোঁজে যে বাগান থেকে ওরা আনছে সেই বাগানে যায়। বাগান দেখে আরো অবাক হই। তারপরই সিদ্ধান্ত নিই ম্যাকানিকের পাশাপাশি এই পেয়ারার চাষ আমি করবো।
এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি। চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আরো ৬ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি হবে বলে আশাবাদী এই খামারি। বর্তমানে তার বাগানে ৮০০ টি থাই থ্রি জাতের পেয়ারা গাছ আছে।
তিনি আরো বলেন ছোট সাইজ থাকতেই এই পেয়ারায় পলিথিন দেওয়া থাকে। পুরো বিষমুক্ত ফল।
তাছাড়া পেয়ারার পাশাপাশি একই জমিতে লাউ, কুমড়া, লাল শাঁক ইত্যাদি ফলন করে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভবান হন এই খামারি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন