বারোমাসি জাতের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাকবেবী তরমুজ আবাদ করে সাড়া জাগিয়েছেন শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের কৃষক বাবুল। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২ এর আওতায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় এ তরমুজ আবাদ করে খরচের তিন গুণেরও বেশী লাভবান হয়েছেন কৃষক।
কৃষক বাবুল জানান, গত জুন মাসে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ৪০ শতক জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে বারোমাসি জাতের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাকবেবী তরমুজ আবাদ করি। প্রথমে কিছুটা ভয় থাকলেও রোপণের ৭০ দিনের মাথায় তরমুজের ফলন আসতে শুরু করায় বেশ আনন্দিত হই।
কৃষক বলেন, গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের বাহারি রংয়ের কারণে এলকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দলে দলে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ তরমুজ দেখতে আসে। প্রতিকেজি তরমুজ ক্ষেত থেকেই ৫৫-৬০ টাকা দরে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন। পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। ইতোমধ্যে আমি ৪০ শতক জমির তরমুজ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। আরও ১৫-২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ এলাকায় এর আগে বারোমাসি জাতের তরমুজ আবাদ না হওয়ায় কৃষকদেরকে উৎসাহিত করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২ এর আওতায় কৃষক বাবুলকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করায় সে বারোমাসি জাতের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্লাকবেবী তরমুজের আবাদ করেন। আবাদের ৭০ দিনের মাথায় কৃষকের ক্ষেতের তরমুজের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখে আশপাশের কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বেশ আগ্রহভরে দেখছেন ও কিনছেন।
তিনি জানান, মৌসুম না হলেও অল্প সময়ে এজাতের তরমুজের ফলন পাওয়ায় এবং তুলনামুলক বেশি বাজারমূল্য পেয়ে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। তার এ সাফল্য দেখে উপজেলার অনেক কৃষকই বারোমাসি জাতের এ তরমুজ আবাদে বেশ আগ্রহী হয়েছেন। পরামর্শ করছেন কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে। আমরা আশা করছি আগামীতে উচ্চমূল্যের এ ফসল আবাদ করে এলকার কৃষকরা অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হবেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ