শসা চাষে সাফল্য পেয়েছেন নড়াইলের কৃষকেরা। অন্য ফসলের চেয়ে কয়েকগুন বেশী লাভ হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকেরা। শসা চাষ করে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা, হয়েছেন স্বাবলম্বী। কম সময়ে অধিক ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা ।কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানালেন,অনান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভজনক হওয়ায় দিন দিন শসা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।শসা চাষে কৃষকদেরকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়া,বিছালী গোবরা, মুসুড়ি,মুলিয়া, শেখহাটিসহ অন্তত ১০ গ্রামের কৃষকেরা শসা চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা,হয়েছেন স্বাবলম্বী। জমি তৈরি, মাচাসহ এক একর জমিতে খরচ হয় ৩০-৪০ হাজার টাকা। ওই জমিতে এক থেকে দেড় লাখ টাকার শসা উৎপাদন হয় বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকা।উৎপাদিত শসা বিক্রি করে আয় হয় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু হয়ে যায়। কৃষকেরা জানালেন, ধানের তুলনায় শসায় ৩/৪ গুন বেশী লাভ হয়।
গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে শসার কেনা বেচার মওসুমী আড়ত। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে শসা তুলে এনে আড়তে বিক্রি করছেন।শসা চাষে মহিলা,বেকার যুবকসহ কলেজের ছাত্রদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এখানকার শসা। স্থানীয় বাজারের ক্রেতারা টাটকা/তাজা শসা কিনতে পেরে খুশি।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় জানান, জেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে শসার (ক্ষিরাই) আবাদ হয়েছে। অনান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় অনেকেই শসা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।এ জেলায় দিন দিন শসা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নড়াইল সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, কম খরচে শসা চাষ করে বেশী লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ