তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) থেকে: একজন আদর্শ কৃষক আয়নাল হোসেন (৫০)। কৃষক পরিবারেই জন্ম তার। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছোট ছত্রগাছা গ্রামের তার বাড়ি। আয়নাল হোসেন অন্যান্য ফসল বুনলে তেমন লাভজনক না হওয়ায় পরিকল্পনা আটেন শসা চাষে। গত তিন বছর আগে প্রতিবেশী সিদ্দিক আলীর শসা চাষকে অনুকরণ করেন সেই থেকে শসা চাষ করে আসছেন আয়নাল হোসেন। তার উৎপাদিত শসা বিক্রি করে ইতোমধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
এবারেও দুই বিঘা হাইব্রিড জাতের শসা চাষ করেছেন আয়নাল হোসেন।
কৃষক আয়নাল হোসেন জানান, এ শসা চাষের সময় হচ্ছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের ১০ তারিখ থেকে শ্রাবণ মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত। ভাদ্র মাসের ১০ তারিখ থেকে কার্তিক মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত এবং মাঘ মাসের ১০ তারিখ থেকে চৈত্র মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত। এই সবজি চাষের সময়কাল ৬৫-৭০ দিন এবং বীজ বপন করার ৩৫ দিন পরে ফলন আসতে থাকে। একটানা ১০ বার তিন দিন পর পর শসা উঠানো যায়। তিনি আরো বলেন, এক বিঘা জমিতে শসা চাষে মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। ফলন আসে কমপক্ষে ২৪৫ মণ। যা বিঘাপ্রতি শসা বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। সাদুল্যাপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া জানান, শসা বাংলাদেশের প্রধান ও জনপ্রিয় সবজিসমূহের মধ্যে অন্যতম। শসা প্রধানত সালাদ ও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শসার প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে ৯৬% জলীয় অংশ, ০.৬ গ্রাম আমিষ, ২.৬ গ্রাম শ্বেতসার, ১৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২ মি. গ্রাম লৌহ, ক্যারোটিন ৪০ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্যপ্রাণ সি ১০ মি. গ্রাম রয়েছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে বেশকিছু জাতের শসার চাষ হচ্ছে এর মধ্যে বিদেশি জাতের অধিকাংশই হাইব্রিড। বিএডিসি ২টি স্থানীয় জাত উৎপাদন করে থাকে বারোমাসি ও পটিয়া জায়ান্ট নামে। এছাড়াও বাংলাদেশি কয়েকটি বেসরকারি সবজি বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বিশুদ্ধ জাত ও হাইব্রিড (সংকর জাত) শসার জাত বাজারজাত করেছে। স্বল্প খরচে শসা চাষ করে অধিক লাভ করা সম্ভব বলে জানান তিনি। সূত্র:এমজে
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন