শিং-মাগুর, পাবদা, গুলসা টেংরা মাছের রেণুর পুকুর কাঁটা ও পুকুর প্রস্তুতি- প্রথম পর্ব

455

পুকুর কাঁটাঃ
রেণুর পুকুর কাঁটা সাধারণত অন্য পুকুরের মত হয়না, রেনুর পুকুরে মাঝখানটা ৩ থেকে ৩.৫ ফুট গভীর হয়ে থাকে, তারপর মাঝখান থেকে যত পাড় এর দিকে যাবেন তত গভীরতা কমতে থাকবে ৪৫ ডিগ্রী এঙ্গেলে, তার কারন ছোট পোনা ও রেণু গুলো পুকুরের পাড়ের কাছাকাছি থাকে আর যত বড় হতে থাকে তত গভীর পানিতে বিচরন করে, পুকুর কাঁটা সঠিক নিয়মে না হওয়ার কারনেও অধিকাংশ রেণু নষ্ট হয় যায়, তাই পুকুর কাঁটার ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত-

পুকুর প্রস্তুতিঃ
# পুকুরের পানি সেচের পর কাল মাটি তুলে পুকুর থেকে দূরে ফেলতে হবে, তারপর যতটা সম্ভব পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে,

# প্রথম দিন প্রতি শতাংশে ২০ গ্রাম হারে ব্লিচিং পাওডার ছিটিয়ে দিন,

# মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে প্রতি শতাংশে ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত চুন প্রয়োগ করুন।

# চুন দেওয়ার ২৪-৪৮ ঘন্টা পর পুকুরে ফ্রেশ আয়রন মুক্ত ৩ ফিটের মত পানি ঢুকান, খেয়াল রাখবেন পানির পিএইচ ৭ এর নিচে না হয়,

# ৩৬ ঘন্টা পূর্বে পুকুরকে হাঁসপোকা মুক্ত করার লক্ষে পরিমিত মাত্রায় প্যারাটিক্স বা সুমিথিয়ন দেওয়া যেতে পারে,

# মাছ ছাড়ার আগের দিন প্রতি বিঘায় ১ কেজি লাইভ ফুড + ৫০০ গ্রাম নার্সারি ফিড + ১ সুজি +৫০০ গ্রাম চিটা গুড় ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে + ১০০ গ্রাম ইস্ট (হালকা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন ) মিশিয়ে সূর্যালোকিত দিনে সকাল ১০-১১ টার মধ্যে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিন,

# পুকুরে রেণু অবমুক্ত করার ২০-৩0 মিনিট পূর্বে পরিমিত মাত্রায় স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে

# রেণু অবমুক্ত করার পূর্বে অবশ্যই পুকুরের অক্সিজেন পরীক্ষা করে প্রয়োজনে গ্রেনুলার ফর্মের অক্সিজেন ( অক্সি-সস) দেওয়া যেতে পারে

# রেণু ছাড়ার সময় রেণুর ব্যাগের তাপমাত্রা ও পুকুরের তাপমাত্রা এডজাস্ট করে ধীরে ধীরে রেণু পুকুরে ছাড়ুন।

আগামিকাল আসছে রেণুর পুকুরের খাবার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯সেপ্টেম্বর২০