মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ থেকে: শিক্ষার সর্বোচ্চ ধাপ শেষ করেও চাকরি না খুঁজে তিনি গড়ে তোলেন পশুপালন খামার। নাম রেখেছেন ‘শায়েস্তাগঞ্জ এগ্রো ফার্ম’। পৌরসভার পূর্ব বড়চরে সড়কের পাশে প্রাচীর ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ এই খামার গড়ে তোলেন।
পশুপালন খামার গড়ে ভালই আছেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর বাজার এলাকার যুবক সৌরভ পাল চৌধুরী।
বর্তমানে এ খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ৩২টি গরু রয়েছে। খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে। আবার এ খামারের পাশেই ২১টি গরু মোটাতাজাকরণ চলছে। এ ঈদে উপযুক্ত গরুগুলো বিক্রি করা হবে।
পরিদর্শনকালে দেখা যায়, গরুগুলোর সেবা শুশ্রুষায় ব্যস্ত খামারের ৮ শ্রমিক। তারা জানান, গোখাদ্য হিসেবে তারা ঘাস-লতাপাতাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর খাঁটি হওয়ায় এখানের দুধও জনপ্রিয়। তাই দুধ সংগ্রহকারীদের ভিড় লেগেই থাকে। শায়েস্তাগঞ্জ শহরের মিষ্টির দোকানেও এখানের দুধ সরবরাহ হয় বলে জানালেন তারা।
এ সময়ে উপস্থিত কাজল মিয়া নামে একজন ক্রেতা বললেন, ‘খাঁটি দুধ পাওয়া খুবই কঠিন। এখানে সে নিশ্চয়তাটুকু আছে বলে আমরাও আসি।’
তিনি বলেন, ‘দুধ থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ (মিনারেলস) পাওয়া যায়, যা শিশুদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত দুধ খেলে স্ট্রোক ও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। কিন্তু দুধ খাঁটি না হলে তো খেয়েও কোন লাভ হবেনা। এই নিশ্চয়তার জন্যই এখানে আসা।’
সৌরভ পাল চৌধুরী বলেন, ‘লাভের চেয়ে সেবাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। লাভ তো হবেই, তাই বলে ভেজাল দিয়ে লাভ চাইনা। সততা-নিষ্ঠা নিয়েই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। নিজে চলছি, এ ফার্মে কাজ করে আরো কয়েকটি পরিবার চলছে- সততার মধ্য দিয়ে এই চলা অব্যাহত থাকবে। ফার্মটি করে আমি সফল হয়েছি। সবমিলিয়ে ফার্মটিকে দিন দিন আরো এগিয়ে নিতে চাই।’ সূত্র: আর বি।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন