নীলফামার জেলায় শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় তাদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
সবজির এলাকা বলে পরিচিত জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি গ্রাম। ওই গিয়ে দেখা যায় মাঠভরা ফুলকপির আবাদ। ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারে।
ওই গ্রামের কৃষক রাজেন্দ্র নাথ রায় (৪০) বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দাম বেশি থাকায় লাভও হচ্ছে।’
এরই মধ্যে এক বিঘা জমির ফুল কপি ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। আরও আধা বিঘার ক্ষেত আছে। প্রতিবিঘায় খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। ক্ষেত থেকে প্রতিটি কপি ২০ থেকে ২২টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
একই গ্রামের কৃষক অধীর কুমার রায় (৪৫) বলেন, ‘ধানের চেয়ে সবজিতে লাভ বেশী। আমার এক বিঘায় কপি চাষে খরচ ১৬ হাজার টাকা। আধা বিঘা জমির ফুলকপি বিক্রি করেছি ৩০ হাজার টাকায়।
তিনি জানান, আগে এ এলাকার মানুষের অভাব অনটন লেগে থাকতো। এখন সবজি চাষ করে সবাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। ওই সবজির মধ্যে ফুলকপিতে লাভ বেশি। লাগানোর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যায়।
অপর কৃষক কোরবান আলী (৪৫) বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ৬০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছি, আরও ৫০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে। তিনি এবার কপি বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন বলেও জানান।
ব্যবসায়ী মো. আশরাফ আলী বলেন, কৃষকদের ক্ষেত থেকে কিনে নিয়ে ট্রাকে আমরা ঢাকার কারওয়ানবাজার ও যাত্রাবাড়ির সবজি বাজারে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ট্রাকে ছয় হাজার ফুল কপি নেওয়া যায়। ১৫ দিন ধরে ওই গ্রাম থেকে কপি সংগ্রহ করে বাজারে নিচ্ছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম রকিব আবেদীন বলেন, আমার দায়িত্বের ওই ব্লকে এখন পর্যন্ত ২০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হেক্টর জমিতে ফুলকপির হয়েছে। এ এলাকার জমি উঁচু হওয়ায় পানি জমে থাকে না। একারণে আগাম সবজির চাষ বেশি হয়। ফুলকপি চাষে সময় কম লাগে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়।